রাজধানীর উত্তরায় সুধের টাকা না পেয়ে ব্যবসায়ীর হোটেল বন্ধ করে দিলেন বিএনপির নেতা কবির চৌধুরী। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বাদি হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় কবির চৌধুরীকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত কবির চৌধুরী ৫৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক বলে জানা যায়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তুরাগ থানা ৫৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কবির উদ্দিন ব্যবসায়ী জাকির হোসেনকে সুধের উপর ১১ লক্ষ টাকা দেন। কবিরের কাছ থেকে ব্ল্যাঙ্ক চেক জমা রেখে টাকা দার নেন ব্যবসায়ী জাকির উদ্দিন। ওই টাকা ধার নেয়া হয়েছিল এবং শর্ত মোতাবেক মাসে মাসে টাকা পরিশোধ করে আসছিল হোটেল ব্যবসায়ী জাকির।

সম্প্রতি, ব্যবসায়ী জাকির উদ্দীন ধারের সম্পূর্ণ টাকা কবির চৌধুরীকে পরিশোধ করে দিলেও জাকিরের ব্ল্যাঙ্ক চেক ফেরত দেয়নি বিএনপির ওই নেতা কবির। উল্টো ৮ লাখ টাকা দাবী করে সন্ত্রাসী লোকজন নিয়ে এসে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের গাউসুল আজম এভিনিউ রোডের ‘ভাই ভাই খাবার হোটেল’ বন্ধ করে দেন।

দুই মাস ধরে হোটেলটি বন্ধ থাকায় স্টাফ-কর্মচারি ও জায়গা ভাড়া পরিশোধ নিয়ে বিপাকে রয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। ভুক্তভোগী জাকির উদ্দিনের অভিযোগ, তার পাওনা সব টাকা ফেরত দিলেও সরকার পতনের পর বিএনপি নেতা কবির আমাকে ব্যবসা করতে দিচ্ছে না। সে মাস্তানি স্টাইলে আমার হোটেলে তালা মেরে চলে গেছে। তার দাবী সুধের তিন লক্ষ টাকা না দিলে সে আমাকে হোটেল খুলতে দিবে না। নিরুপায় হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি আমি। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে তেমন কোন সমাধান দিতে পারে নাই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা কবির উদ্দিনকে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি জানান এই ঘটনা মিমাংশা হয়ে গেছে। এদিকে, এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র বলেন, অভিযোগের পর আমি দুই পক্ষকে নিয়ে বসেছি এবং বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছি কিন্তু কবির তার পাওনা ৮ লাখ টাকা দাবি করেন এবং সাথে তিন মাসে আরো চার লাখ টাকা লাভ দাবি করেন। পরে এই বিষয়টি আর কোন সমাধান হয়নি।

 

 

বার্তাবাজার/এস এইচ