অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪২ হাজার ছাড়িয়েছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর হামলায় অন্তত ৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৩০ ফিলিস্তিনি।

গাজা জুড়ে আবাসিক ভবন, সরকারি স্থাপনা ও অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী। এতে মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার ভোরের দিকে চালানো বিমান হামলায় অন্তত ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলীয় সুজাইয়া এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আসা ফারাহাত পরিবারের নয়জন সদস্য ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে আল জামাল পরিবারের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় দুই শিশুসহ অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন।

শুধু মঙ্গলবারেই নুসেইরাত ও বুরেইজ শরনার্থী শিবিরে ২৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। আহত হয় ৪ হাজারের মতো। হামাস জিম্মি করে ২৪০ থেকে ২৫৩ জনকে।

হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েল গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে। শনিবার এক বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪২ হাজার ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৯৭ হাজার ৭২০ ফিলিস্তিনি।

এ ছাড়া ১০ হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, নিখোঁজ ব্যক্তিরা ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে। আর মরদেহগুলো তাদের বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে।

 

বার্তাবাজার/এসএম