“জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বৃক্ষরোপণের কোনো বিকল্প নেই। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধে বৃক্ষরোপনের চেয়ে উৎকৃষ্ট পদ্ধতি আর হতে পারে না। আমাদের এই অঞ্চলের বেড়িবাঁধ রক্ষা করার জন্য চর বনায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বায়ু থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড দূর করতে গাছের বিকল্প নেই। প্রয়োজনের তাগিদে গাছ কাটা হলেও আমাদের এই অঞ্চলের উপকূলীয় বেড়িবাঁধ গুলো এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে বৃক্ষ রোপণের হার বাড়াতে হবে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বারসিক এর সহায়তায় এখানকার স্থানীয় জনগোষ্ঠী যে চর বনায়ন এর উদ্যোগ গ্রহন করেছে, আমি এই উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানাই।” শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাখিমারা তে ১ কিঃমিঃ চর বনায়ন উদ্বোধনে অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমজাদুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

বুধবার (০৯ অক্টোবর) শ্যামনগরের ১৭৫ নং দক্ষিণ পাখিমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ওয়াপদা বেড়িবাঁধের ভাঙন কবলিত চরে বেসরকারি গবেষণা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান বারসিক এর সহায়তায় এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠী, শাপলা সংঘের উদ্যোগে এই চর বনায়ন কার্যক্রমে ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. হাফিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমজাদুল ইসলাম। চর বনায়ন কার্যক্রমে একাত্মতা প্রকাশ করেন সবুজ সংহতি ও শ্যামনগর উপজেলা যুব স্বেচ্ছাসেবী সমন্বয় কমিটি।

উল্লেখ্য, ৭০ শতক জায়গায় প্রায় ৬০০০ পিচ সুন্দরবনের গরান, বাইন, খলিশা, কাঁকড়া ও কেওড়া সহ প্রভৃতি গাছের ফল রোপন করা হয়। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সবুজ সংহতি’র কার্যকরী সদস্য মো. আশরাফ হোসেন, যুব স্বেচ্ছাসেবী সমন্বয় কমিটি’র যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. আসাদুল্লাহ, পাখিমারা শাপলা সংঘের মো. নজরুল ইসলাম, মো. মোকছেদুর রহমান, মো. সৌরভ হোসেন, বারসিক এর কর্মসূচী কর্মকর্তা মো. মফিজুর রহমান, মারুফ হোসেন মিলন, যুব সংগঠক স.ম ওসমান গনী, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক মো. রিপন হোসেন, শামীম হোসেন প্রমুখ।

 

 

 

 

বার্তাবাজার/এস এইচ