সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে রাজস্ব আদায় ও আমদানি বাণিজ্যে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছেন। বাণিজ্য উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি পরস্পর অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে আবদ্ধ। বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকার অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করার মধ্য দিয়ে অর্থনীতির চাকা সচল রাখায় ভোমরা বন্দরে বেড়েছে আমদানি বাণিজ্য।

বাণিজ্য বান্ধব অনুকূল পরিবেশ থাকায় আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করছে এ বন্দরকে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর মাসে এ বন্দর থেকে আমদানি বাণিজ্যে ৮৯ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ৬৮৫ টাকা রাজস্ব অর্জন করেছে। রাজস্ব প্রবৃদ্ধি সমুন্নত রাখতে মাসিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর মাসে রাজস্ব প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৮৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। কিন্তু আমদানি বাণিজ্য বৃদ্ধিতে নির্ধারিত মাসিক লক্ষ্যমাত্রার গন্ডি পেরিয়ে ৫ কোটি ৪৪ লাখ ৭০ হাজার ৬৮৫ টাকা অধিক রাজস্ব অর্জিত হয়েছে। তোমরা স্থল-শুলকে স্টেশনের কর্তৃপক্ষ জানান, আমদানি বাণিজ্যে গতিসঞ্চার হওয়ায় বেড়েছে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি। গুঁড়ো দুধ ব্যতীত অন্যান্য সকল পণ্য আমদানির অনুমতি রয়েছে এ বন্দরে। বর্তমানে পচনশীল পণ্যের মধ্যে কাঁচা ঝাল টমেটো ও স্বল্পাকারে আমদানি হচ্ছে ভারত থেকে। রাজস্ব ফাঁকির কোনো সুযোগ না থাকায় অধিক হারে বেড়েছে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি।

সূত্র জানায়, আমদানি জাত পণ্যের উপর ফাঁকির অভিযোগ থাকলেও নেই কোন পুকুর চুরি সুযোগ। যে কারণে ক্রমান্বয়ে উন্নতি হচ্ছে রাজস্ব অর্জন। একই সাথে প্রগতিশীল হয়ে উঠছে আমদানি বাণিজ্য। বন্দরের একাধীক ব্যবসায়ী জানান, ভোমরা স্থলবন্দকে পূর্ণাঙ্গ বন্দরে রূপান্তিত না হওয়ায় গুঁড়ো দুধ ব্যতীত অন্যান্য সকল পণ্য আমদানির অনুমতি থাকলেও সুবিধা পাচ্ছেন না তারা। সেই সাথে বন্দরের কাস্টম হাউস না থাকায় নানা ভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। প্রথম শ্রেণির বন্দর হিসাবে অবকাঠামোর উন্নয়ণ জরুরী বলেও দাবি তাদের।

ভোমরা স্থল শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার এনামুল হক জানান, ভোমরা বন্ধরে চলমান অবশিষ্ট অবকাঠামো উন্নয়ন সম্পন্ন হলে অনুমোদিত ভারী যন্ত্রাংশসহ সকল পণ্য ভারত থেকে আমদানি হবে। তখন রাজস্ব অর্জন দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে। ভোমরা বন্দর ব্যবস্থা উন্নীত করে বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ পূর্বক ভোমরা উন্নত বন্দরে রূপান্তরিত করে বর্তমান জনবান্ধব অন্তর্বর্তী সরকার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।

 

 

 

বার্তাবাজার/এস এইচ