টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে উৎসুক পর্যটকদের নিয়ে সমুদ্রের অতল গভীরে ডুব দেয়‘টাইটান’কিছুক্ষণ পরই সমুদ্রের ওপরে থাকা জাহাজের সঙ্গে সাবমেরিনটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। চারদিন পর নিখোঁজ সাবমেরিন ‘টাইটান’এর পাঁচ আরোহীর সবাই মারা গেছে বলে জানায় ডাইভ পরিচালনাকারী সংস্থা ওশানগেট। এই পাঁচ আরোহীর মৃত্যু নিয়ে কথা বলেছেন বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক জেমস ক্যামেরন। ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বিখ্যাত সিনেমা টাইটানিকের পরিচালক তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবর অনুযায়ী, টাইটানিক সিনেমা নির্মাণের কারণে বিষয়টি বোঝার জন্য আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে ৩৩ বার গিয়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখে এসেছেন জেমস ক্যামেরন।
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া পাঁচ আরোহীসহ সাবমেরিনটি নিখোঁজের খবর প্রকাশ্যে আসার সময়ই তাদের মৃত্যু হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করেছিলেন তিনি।
পরিচালক ক্যামেরন বলেন, যা কিছু হয়েছে তা আমি হাড়ে হাড়ে অনুভব করেছি। যখন সাবমেরিনটির সঙ্গে কমিউনিকেশন এবং ট্র্যাকিং ট্রান্সপন্ডার ব্যর্থ হয়েছে, তখনই স্পষ্ট যে সাবমেরিনটি আর নেই।
তিনি বলেন, আমার কাছে এটি দুঃস্বপ্নের মতো মনে হয়েছে। যেখানে মানুষ শুধুই ছোটাছুটি করছে এবং অক্সিজেন নিয়ে চিৎকার করছে। আমি জানতাম সাবমেরিনটি চূড়ান্ত গভীরতা ও অবস্থানের নিচে ঠেকেছিল। সাবমেরিনটি সেই জায়গায়ই পাওয়া গেছে।
এর আগে, গত ১৮ জুন টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য সমুদ্রের অতল গভীরে ডুব দেয় সাবমেরিনটি। এর কিছুক্ষণ পরই সমুদ্রের ওপরে থাকা জাহাজের সঙ্গে সাবমেরিনটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। চারদিন পর নিখোঁজ সাবমেরিন ‘টাইটান’ এর পাঁচ আরোহীর সবাই মারা গেছে বলে জানায় ডাইভ পরিচালনাকারী সংস্থা ওশানগেট। তাদের মরদেহও হয়তো কখনও খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা করছে মার্কিন কোস্টগার্ড।
বার্তা বাজার/জে আই