বাংলাদেশ-ভারত প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে গোয়ালিয়রের স্থানীয় প্রশাসন। পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে ভারতীয় একাধিক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ম্যাচের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হবে ২,৫০০’র বেশি পুলিশ।
গোয়ালিয়রের শ্রীমান্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে রোববার (৬ অক্টোবর) মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। এ ম্যাচের আগে হুমকি দিয়ে আসছিল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভাসহ দেশটির বেশকিছু উগ্র হিন্দু ধর্মাবলম্বী সংগঠন। গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাত পরবর্তী ঘটনায় হিন্দুদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে ম্যাচটি বাতিলের দাবি তুলেছিল ভারতের কট্টরপন্থী সংগঠনগুলো। এমনকি ম্যাচ আয়োজন বন্ধ করতে হিন্দু মহাসভা ‘গোয়ালিয়র বন্ধ্’ এর ডাকও দিয়েছিল।
যার কারণে নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর অবস্থানে যায় স্থানীয় প্রশাসন। গত বুধবার থেকে দুদলের অবস্থান করা হোটেল ঢেকে রাখা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। ম্যাচের দিন যাতে কোনো বিক্ষোভ ও আন্দোলন না ঘটে সে জন্য মানুষের চলাচল ও কর্মকাণ্ড সীমিত করার কথা জানিয়েছেন গোয়ালিয়রের কালেক্টর ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রুচিকা চৌহান।
ম্যাচটি মাঠে গড়ানোর কথা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। এদিন দুপুর থেকে দর্শকদের বাড়ি ফেরা পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান করবে পুলিশ। আয়োজনে যাতে কোনো বিঘ্ন না ঘটে এ জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ২৫০০ এর বেশি পুলিশ।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে গোয়ালিয়র জোনের ইন্সপেক্টর জেনারেল অরবিন্দ সাক্সেনা বলেন, ‘ম্যাচের দিন পুলিশ সদস্যরা বেলা ২টা থেকে রাস্তায় অবস্থান করবে। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর দর্শকেরা বাড়ি ফিরে যাওয়া পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবে। নিষেধাজ্ঞা জারির পর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চোখ রাখছি।
এর আগে বিক্ষোভকারী সংগঠনগুলো শহরে প্রতিবাদী আয়োজনে র্যালি ও কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছিল। সে কারণে স্থানীয় পুলিশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পর্যন্ত কড়া নজর রাখে। যাতে এই পরিস্থিতিকে উসকে দেয়া কোনো বার্তা, ছবি কিংবা ভিডিও কেউ ছড়াতে না পারে। এছাড়া সঙ্গে কোনো অস্ত্র কিংবা আঘাত করার উপযোগী বস্তু রাখাও নিষিদ্ধ। ম্যাচটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করার লক্ষ্যে পুরো শহর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে।
গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টি শেষে দিল্লি ও হায়দরাবাদে বাকি দুই ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ-ভারত।
বার্তাবাজার/এসএম