আপনজনদের দ্বারা নিজ ঘরে থাকা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সত্তরোর্ধ বিধবা হাসনা আরা বেগমের। স্বামী মারা যাওয়ার ১৬ বছর পর বসত ভিটা থেকে বেদখল করার অভিযোগ উঠেছে তার আপন নাতি নাতনির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হাতিয়া পৌরসভা ৬ নং ওয়ার্ড লক্ষীদিয়া গ্রামে।
বিধবা হাসনা আরা বেগম বাড়ী ছেড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে বুধবার সরেজমিনে বাড়িতে দখলে থাকা অভিযুক্ত নাতি মো: ফাহাদ, বড় পুত্রবধু শাহেনা আক্তার ও স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাবর মিয়া মারা যাওয়ার পর বাড়িটি ক্রয়সূত্রে মালিক হন হাসনা আরার বড় ছেলে ফখরুদ্দীন। হাসনা আরার স্বামী আজিজুল হক বাবরের জীবদ্দশায় থেকে বাড়িটিতে যৌথভাবে বসবাস করে আসছেন সন্তানসন্তোতি সবাই মিলে। ২০১৭ সালে বাড়িটি রেজিস্ট্রি হয় বড় ছেলে ফখরুদ্দীনের নামে। এককভাবে রেজিস্ট্রির ঘটনায় হাসনা আরা বেগম বাদী হয়ে ফখরুদ্দীন ও তার স্ত্রী-সন্তানদের বিরুদ্ধে সিনিয়র সহকারী জজ, হাতিয়া আদালতে ২৬/২০২২ নং দেওয়ানী মোকদ্দমা দায়ের করেন। মামলা শুনানীকালে ফখরুদ্দীন মৃত্যুবরণ করেন। পরে ফখরুদ্দীনের স্ত্রী-সন্তানরা বাড়িটি একক দাবী করে হাসনা আরা বেগমকে বেদখলের উদ্যত হলে তিনি আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ০১ সেপ্টেম্বর আদালত বিবাদীগনের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। কিন্তু ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে ফখরুদ্দিনের স্ত্রী ও ছেলে ফাহাদ’রা আদালতের ওই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাড়ীতে ঢুকে অবস্থান করেন। ফলে হাসনা আরা বাড়ীতে বেদখল হন।
হাসনা আরা বেগমের ছোট ছেলে ফাহিম অভিযোগ করে জানান, তার পিতা আজিজুল হক বাবর ওছখালী এলাকায় এমপির পোল সংলগ্ন নিজ বাড়ীতে সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন। ২০০৮ সালে বাবার মৃত্যুর পর মা সহ আমরা সবাই যৌথভাবে এ বাড়ীতে অবস্থান করে আসছি। কিন্তু আমাদের বড় ভাই ফখরুদ্দিন বাড়ীটি নিজ নামে রেজিস্ট্রি করেন। পরে আমার মা বাদী হয়ে আদালতে দলিল সংশোধনের মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে ফখরুদ্দিনের স্ত্রী শাহেনা আকতার বলেন, এ বাড়ীতে আসার পর সবাই বেকার ছিল এবং আমার শ^শুর অসুস্থ্য ছিল। আমার স্বামী ব্যবসা বানিজ্য করতেন। তিনি বাড়ীটির ক্রয় করার ক্ষেত্রে সকল টাকা পয়সা দেয়।
বার্তাবাজার/এস এইচ