সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত দীর্ঘদিনেও শেষ না হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, ১২ বছরেও সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া শুধু তার পরিবারের জন্য না, সমগ্র জাতির জন্য দুঃখজনক। বিচার বিভাগের জন্যও এটা কষ্টের কারণ।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানিকালে সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির শুনানি করেন। রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ শুনানি করেন।
শুনানি শেষে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্তে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। একই সঙ্গে বিভিন্ন বাহিনীর অভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে এই টাস্কফোর্স গঠন করতে বলা হয়। টাস্কফোর্স গঠনের পর ৬ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
হাইকোর্ট বলেছেন, আশা করি এবার ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে এবং তদন্তের জন্য দেওয়া এবারের ছয় মাস, মানে ছয় মাস।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনিরকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে মামলার বাদী নওশের রোমান সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন।
নিয়োগের বিষয়ে আইনজীবী শিশির মনির বলেছিলেন, আমরা সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উন্মোচনে কাজ শুরু করবো। এর অংশ হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে খুবই দ্রুত মিটিং করবো। একইসঙ্গে হত্যার রহস্য উন্মোচনে নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবো।
সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ পর্যন্ত ১১৩ বার সময় বাড়ানো হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য রয়েছে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন।
বার্তাবাজার/এসএম