আগামী ২৯ জুন মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। এই উপলক্ষ্যে কক্সবাজার জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৯০টি কোরবানি পশুর হাট বসছে। তৎমধ্যে শুধুমাত্র ৪২টি কোরবানের ঈদ উপলক্ষ্যে। টেকনাফ করিডোর বন্ধ থাকায় পশুর দাম বাড়তি হতে পারে বলে দাবী ব্যবসায়ীদের। বাজারে ক্রেতা বিক্রেতা ও সর্বসাধারণের নিরাপত্তা বিবেচনায় এবার ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এবারে জেলায় বসছে ৯০টি কোরবানী পশুর হাট। যার মধ্যে সদরে ১৭টি, রামুতে ১৫টি, টেকনাফে ১৩টি, উখিয়ায় ৮টি, চকরিয়ায় ২০টি, পেকুয়ায় ৮টি, মহেশখালী ৯টি, কুতুবদিয়ায় ৬টি। তবে বেসরকারি হিসাবে বাজারের সংখ্যা দেড় শতাধিক।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (জেনারেল) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, বাজারে কোরবানের পশু পরীক্ষার জন্য প্রাণী সম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে পশু টেষ্ট মেডিকেল টিম। জাল নোট সনাক্তকরণে বাজারে থাকবে সোনালী ব্যাংকের জালনোট সনাক্তকরণ মেশিনসহ বিশেষ টিম। ছিনতাই রোধ ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম।

এবছর জেলার সর্ববৃহৎ টেকনাফ পশুর হাট ইজারা হয়েছে ৪২ লাখ, সদরের ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তর পশুর হাট খরুলিয়া বাজার ২ কোটি ৬৭ লাখ টাকায়। ঈদগাহ পশুর হাট ২ কোটি ১৭ লাখ টাকায়। তবে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ করিডোর বন্ধ থাকায় এবারে টেকনাফ পশুর হাট কম মূল্যে ইজারা হয়েছে বলে জানায় টেকনাফের পশুর হাট ইজারাদাররা।

টেকনাফের গবাদী পশু ব্যবসায়ী মো. আব্দুল্লাহ জানান, দেশের পশুর চাহিদার পূরনের ৪০ শতাংশ আমদানী করা হতো মিয়ানমার থেকে। ২০২১ সাল থেকে সীমান্ত করিডোর বন্ধ থাকায় মিয়ানমার থেকে পশু আমদানী বন্ধ রয়েছে। গত বছরের ন্যায় এবারে তার প্রভাব পরবে পশুর হাট গুলোতে। এসব প্রতিকূলতার মাঝেও ক্রেতাদের চাহিদা মাথায় রেখে জেলার যেসব সীমান্ত দিয়ে মিয়ারমারের পশু ঢুকছে সেসব জায়গা থেকে অতিরিক্ত দামে আমরা পশু সংগ্রহ করে মজুদ করেছি। কক্সবাজার অঞ্চলে ভারতীয় পশুর চাহিদা কম। তবে যদি ইত্যমধ্যে সরকার করিডোর খোলে দিলে স্থানীয় হাট ছাড়াও দেশের বড় বড় হাট গুলোতে পশুর দাম কমে যাবে।

বার্তাবাজার/এম আই