শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার তারাবুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এক দপ্তরীর বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে সখিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত আলমাছ রাজ (৩৫) চরসেনসাস ইউনিয়নের বালা কান্দী এলাকার ফজা রাজের ছেলে ও ওই বিদ্যালয়ের দপ্তরী হিসেবে কর্মরত। ভিকটিম সাদিয়া (ছদ্মনাম) ওই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ‘ক’ শাখায় অধ্যয়নরত।
এদিকে, অভিযোগ দায়েরের পর ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এছাড়া একটি মহল ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
লিখিত অভিযোগ ও ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার স্কুল ছুটি হলে সকল ছাত্র-ছাত্রী বাহির হলে পেছন থেকে স্কুলটির দপ্তরী আলমাছ রাজ ভিকটিম সাদিয়া (ছদ্মনাম) এর হাত ধরে টেনে স্কুলটির দ্বিতীয় তলায় নিয়ে কেচি গেইট আটকে তাকে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। এসময় ওই স্কুল ছাত্রী চিৎকার চেচামেচি করে কোনরকম দৌড়ে পালিয়ে বাহিরে চলে আসে। পরবর্তীতে ভিকটিম তার মাকে ফোন করে বিষয়টি জানালে তিনি স্কুলে এসে মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দপ্তরীকে তার কর্মস্থল ও পরে বাসায় গিয়েও খুঁজে পাওয়া যায় নি। তার ব্যবহৃত ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। তারাবুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হামিদুল হক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ ব্যাপারে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক বলেন, ‘ লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।