বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বিএনপি দেশের জনগণের জন্য রাজনীতি করে। আমরা রাজপথে থাকি। আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াই। বিগত দশকের পর দশক মান্না সাহেবের রজনীতি ছিল দেশের জনগণের জন্য। তিনি নিজেই জনগণের জন্য রাজপথে দাঁড়িয়েছেন। তাকে বিভিন্ন সময়ে অন্যায় ও জুলুমের শিকার হয়েছিলেন। তাকে সেসময় সুচিকিৎসাও দেওয়া হয়নি।

চিকিৎসাসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। বেগম খালেদা জিয়াকেও সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। আমাদের কথা পরিষ্কার- শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ১৫ বছরে দেশে স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারা কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। সেই সংগ্রামে আমরাও রাজপথে ছিলাম। মান্না সাহেবও ছিলেন। আমরা চাই মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো ফিরিয়ে দিতে হবে।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) দেখতে হাসপাতালে যান। তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. আব্দুল মঈন খান এসব কথা বলেন।

এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ড্যাব নেতা ডা. মানোয়ারুল কাদির বিটু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গত শনিবার গভীররাতে মান্না অসুস্থবোধ করায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. শোয়েব মুহাম্মদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, উনি হার্ট অ্যাটাক করেছেন, এখন ওনাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ৭২ ঘণ্টা পার না হওয়া পর্যন্ত উনি শঙ্কামুক্ত নন।

নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবিক আনোয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে সাদা পোশাক পরিহিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রথমে মান্নাকে গুম করে, পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মিথ্যা মামলায় তাকে দুই বছর কারাভোগ করতে হয়েছে। কারাগারে থাকা অবস্থায় হার্ট অ্যাটাক করলে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। সেসময় তার হার্টে একাধিক ব্লক ধরা পড়ে।

 

বার্তাবাজার/এসএম