মাদারীপুরে দুটি পরিবারে দীর্ঘদিনের জমিসংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা নিষ্পত্তি করলেন ঘাটমাঝি ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট মো: বাবুল আক্তার। জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একাধিক মামলাসহ মিথ্যা মামলা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে দীর্ঘদিন যাবত। অবশেষে জেলার সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের কুন্তিপাড়া গ্রামের হাওলাদার বাড়ীতে দিনব্যাপী একটা সালিশ ও মাফযোগের মাধ্যমে এই জমি জমার একটা স্থায়ী সমাধান দেয়া হয়।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কুন্তিপাড়া গ্রামের হাওলাদার বাড়ীর উত্তরপাশ সামচু হাওলাদারসহ তাদের ভাইদের সাথে ও দক্ষিণ পাশের বিল্লাল হাওলাদার, বাকা হাওলাদার, জাহাঙ্গীর হাওলাদার, তোতা হাওলাদারসহ তাদের ভাই ও চাচাদের সাথে জমিসংক্রান্ত বিষয় দীর্ঘ দিন যাবত সমস্যা থাকায় একাধিক মিথ্যা মামলা ও সালিশ বৈঠক হয়। কিন্ত সালিশের এক পর্যায় সেটা সমাধান হলেও, পরে আর সেই সমাধান না মেনে, পুনরায় আবার মিথ্যা মামলা দিতো সামচু হাওলাদারগণ। সেই প্রেক্ষিতে কয়েকদিন আগে মামলায় হাজিরা দিতে গেলে তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত। তবে দুপক্ষের সমঝোতায় আবারও সালিশ ও জমিসংক্রান্ত বিষয় সমাধানের আশ্বাসে আদালত তাদের জামিন দেন। এরপর গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী সালিশ ও জমিসংক্রান্ত বিষয় সমাধান করে দেন ঘটমাঝি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও আশপাশের বিভিন্ন গণ্যমাণ্য ব্যক্তিরা। এসময় দুপক্ষের আত্মীয় স্বজন উপস্থিত ছিলেন। এবং জমির সীমানা নির্ধারণ করে খুঁটি পুতে রেখে আসেন চেয়ারম্যান। এসময় মাদারীপুর জজকোর্টের একাধিক এডভোকেট ও তিনজন জমির সীমানা নির্ধারণের আমিন উপস্থিত ছিলেন।

দীর্ঘদিনের জমিসংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা নিষ্পত্তির শেষে ঘটমাঝি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও এডভোকেট মো. বাবুল আক্তার দুপক্ষের উদ্দেশ্য বলেন, কাউরে ছোট করে, খাটো করে কথা বলবে না। এই যে খুটি গেড়ে দিয়ে গেলাম এ হিসেব করে তোমার বসবাস করবা। জিতলে তোমার জিতছো, ঠকলেও তোমার ঠকছো। আর কোন মাপামাপি হবে না। আর মামলার ব্যাপারে বাদি পক্ষ একটা দরখাস্ত দিয়ে মামলা তুলে নিবে।

বার্তাবাজার/এস এইচ