বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার যে সংস্কারের কথা বলছে; সেসব সংস্কার যদি আসলে করা হয়— সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে তা যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার করতে হবে। যাতে একটি প্রকৃত সংস্কারের মধ্য দিয়ে প্রকৃত বহুদলীয় বহুমাত্রিক গণতন্ত্রের যে পথ চলা সেটাকে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। আর এ কাজ করতে আমার মনে হয় বেশি সময় লাগবে না।’
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকবদের দেওয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেসব সংস্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছে তা যদি করা যায় সেটা বাতিঘর হয়ে থাকবে। পরবর্তী সময়ে তা আলো দেখাবে। পরবর্তীতে জনগণের মেন্ডেট নিয়ে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা সে অনুযায়ী কাজ করতে পারবে।’
সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎকারে ১৮ মাসের ফ্রেমওয়ার্কের বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, আমার কাছে মনে হয় একটু বেশি সময় চাওয়া হয়েছে বা বলা হয়েছে। সেনাপ্রধান যে বিষয়ে আলোচনা করেছেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন কাল-পরশুই যে হতে হবে তা নয়। এটি যেহেতু আলোচনার বিষয়, দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে আলোচনা করে মতামত জানানো হবে।
রিজভী আরও বলেন, সেনাপ্রধান এবং প্রধান উপদেষ্টার মাঝে যে আলোচনা হয়েছে সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটা যে খুব বেশি সময় তাও কিন্তু নয়। নির্বাচনের তারিখটা আরেকটু তাড়াতাড়ি হলে আমার মনে হয় জনগণের মধ্যে এই সরকারের প্রতি যে আস্থা ও বিশ্বাস আছে সেটা আরও মজবুত হবে।
পরাজিত শক্তির কাছে কালো টাকা আছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, ‘পরাজিত শক্তি এই মুহূর্তে দেশে অরাজকতা তৈরি করার চেষ্টা করছে। তারা এখন চুপচাপ বসে থাকলেও ভেতরে ভেতরে কাজ করছে, নানা ষড়যন্ত্র করছে। কারণ তাদের হাতে প্রচুর কালো টাকা আছে। সেই কালো টাকা তারা ব্যবহার করছে। সেই কালো টাকা ব্যবহার করে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।’