পটুয়াখালী পৌর শহরের কলাতলা যুব সংসদ সড়ক এলাকায় চলাচলের রাস্তায় দেয়াল উঠিয়ে ১০ পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী বাচ্চু মৃধার বিরুদ্ধে। এতে ১০ পরিবারের প্রায় ৫০ জন মানুষ গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন। যার কারনে স্কুল কলেজে যেতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। এতে চরম দুর্ভোগে পরেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চান ভুক্তভোগীরা। ওছাড়া এ ঘটনায় পটুয়াখালী পৌরসভার প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী হাফিজা বেগম নামে এক নারী।

জানাগেছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার প্রতিবেশী বাচ্চু মৃধা গায়ের জোরে প্রায় ৫০ বছর ধরে মানুষের চলাচলের রাস্তার উপর ইটের দেয়াল তুলে। যাতে প্রায় ১০ পরিবারের ৫০ জন সদস্যদের চলাচলে সমস্যা হয়।

ভুক্তভোগী হাফিজা বেগম বলেন, দু বছর আগে বাড়িসহ ৬ শতাংশ জমি ক্রায় করেন তিনি। তারপর আগের মতই সামনের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতেন তিনি ও পাশের প্রতিবেশীরা। কিন্তুু কিছুদিন আগে থেকেই প্রতিবেশী বাচ্চু মৃধা সামনের রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে বাঁধা দেন এবং ৪ লক্ষ টাকা দিলে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে দিবেন বলে জানান। কিন্তুু তার সেই চাঁদার টাকা না দেয়ায় বাচ্চু মৃধা গত ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাস্তার উপর ইটের দেয়াল তুলেন। বর্তমানে আমি এবং আমার ভাড়াটিয়াসহ আরো কয়েক পরিবারের লোকজন খুব দুর্ভোগের মধ্যে আছি। আমরা দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চাই। আরেক ভুক্তভোগী কাজল আক্তার জানান, আমাদের বাপ দাদার আমল থেকে এই রাস্তা দিয়ে সবাই যাতায়াত করত। আর এখন বাচ্চু মৃধাকে ৪ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে না পারায় সে রাস্তা আটকিয়ে দেয়াল উঠিয়েছে। রাস্তার উপর ইটের দেয়াল তোলার সময় তাকে বাঁধা দিলে সে তার লোকজন নিয়ে আমাদের বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকি দেয়। বর্তমানে রাস্তা বন্ধ থাকার কারনে বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না। এমনকি বৃদ্ধ বাবাও মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে পারছে না। আমরা পৌরসভার প্রশাসক ও জেলা প্রশাসনের কাছে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান প্রত্যাশা করছি।

অভিযুক্ত বাচ্চু মৃধা বলেন, পৌরসভার রাস্তা নয় আমার মালিকানা জমির উপর দেয়াল দিয়েছি। এতে কেউ বন্দী হলে আমার কি করার আছে। তারা তাদের নিজেদের জমি রাস্তার জন্য একটুও না দিলে আমি কেন একা আমার জমি দিব তাদের চলাচলের জন্য। এ বিষয়ে পটুয়াখালী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ রাকিব জানান, বিষয়টি পৌর প্রশাসক স্যার জেনে লোক পাঠিয়েছিলো বাচ্চু মৃধার কাছে। যাতে সে নিজে ইটের দেয়াল ভেঙে মানুষের জন্য চলাচলের রাস্তা ঠিক করে। কিন্তুু সে যদি নিজে দেয়াল না ভাংগে তবে পৌর কতৃপক্ষ দেয়াল ভেঙে দিবে বলে জানান তিনি।

বার্তাবাজার/এস এইচ