কোরবানি ঈদের আগে ভোজ্যতেলের দাম আরেক দফা কমানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সোমবার (১৯ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে এফবিসিসিআই ও এইচএসবিসি আয়োজিত বাংলাদেশ-ইউকে বিজনেস করিডোর লেগ্যাসি অ্যান্ড দ্য ফিউচার বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কোরবানি ঈদের আগে আরেক দফা কমানো হতে পারে ভোজ্যতেলের দাম। মূলত বিশ্ববাজারে দাম কমলে বাংলাদেশের বাজারে কী প্রভাব পড়বে; তার ওপর ভিত্তি করে দাম কমানো হবে। এছাড়া কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছেন যারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে দাম বাড়ানোর উপায় খোঁজেন। সেক্ষেত্রে শুধু বিশ্ববাজারকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।

আমদানিনির্ভর হওয়ায় চিনির দাম কমানো যাচ্ছে না জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, বিশ্ববাজারে চিনির দাম বাড়তি। বাংলাদেশ ৯৯ শতাংশ চিনি আমদানি করে। মাত্র ১ শতাংশ চিনি দেশে উৎপাদিত হয়।

আর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে কোনো প্রভাব পড়বে না বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

এর আগে চলতি মাসের ১১ জুন প্রতি লিটার প্যাকেটজাত সয়াবিন তেল ১০ টাকা কমিয়ে ১৮৯ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ৯ টাকা কমিয়ে ১৬৭ টাকা ও পাম অয়েলের দাম ১৩৫ টাকা থেকে ২ টাকা কমিয়ে খুচরা পর্যায়ে ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

সে সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানিয়েছিলেন, সার্বিক দিক বিবেচনা করে ঈদের আগে তেলের দাম আরও কমানো যায় কি না, সেটিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি আসন্ন ঈদের আগে আরেক দফা দাম কমানো সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বার্তা বাজার/জে আই