চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানার গার্মেন্টস কর্মী ধর্ষণ মামলার একমাত্র এজাহারনামীয় পলাতক আসামি মোঃ রেজাউল করিমকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শরীফ উল আলম।
তিনি বলেন, ভুক্তভোগী ভিকটিম (২৬) পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মী এবং চট্টগ্রামের বন্দর থানাধীন ২ নং মাইলের মাথা এলাকায় বসবাস করে আসছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর সিইপিজেড এর ইউনিবুক-৩ গার্মেন্টসে চাকুরির সুবাদে মোঃ রেজাউল করিম এর সাথে ভিকটিমের পরিচয় হয় এবং পরিচয়ের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রেজাউল করিম ভিকটিমকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ভিকটিমের বাসস্থানে এসে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। পরবর্তীতে ভিকটিম মোঃ রেজাউল করিমকে বিবাহের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে সে বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপণ করতে থাকে। পরবর্তীতে গত ০৩ জুলাই ২০২৪ইং তারিখে মোঃ রেজাউল করিম ভিকটিমের বাসায় গিয়ে জোরপূর্বক তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে এবং উক্ত ধর্ষণের ঘটনা কাউকে বললে ভিকটিম এবং তার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি করবে মর্মে তাকে হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০১, তারিখ- ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(১)।
র্যাব-৭ বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় একমাত্র পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারির এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি মোঃ রেজাউল করিম চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন অক্সিজেন রৌফবাদ এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে আনুমানিক ২২৩০ ঘটিকার সময় বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোঃ রেজাউল করিম (৩০), পিতা- মৃত সিরাজ আলী, সাং- দইখাওয়া, থানা- হাতিবান্দা, জেলা- লালমনিরহাট, বর্তমানে- চান্দারপাড়া কবরস্থান এলাকা, থানা- বন্দর, জেলা- চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত ধর্ষণের ঘটনা সত্য বলে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বন্দর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।