চট্টগ্রামে এক চাকুরীজীবিকে হত্যার অভিযোগে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সহ ২২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডবলমুরিং থানার ওসি কাজী রফিক আহমেদ।

তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনের সমানে মোঃ আলম নামে এক ব্যক্তি দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া গুলিতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই জামাল উদ্দিন রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরের ডবলমুরিং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর নগরীর মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনের সামনে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। তখন কিছু দুষ্কৃতকারী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণ করে। যেখানে মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে দুষ্কৃতিকারীদের ছোড়া গুলি লাগে মোঃ আলমের মাথায়। আলমকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মা ও শিশু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এঘটনার জন্য নিহতের ভাই জামাল উদ্দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ ২২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল হক মাহমুদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালাম, সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু, এমএ লতিফ, মো. দিদারুল আলম দিদার, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী, আব্দুল্লাহ আল মামুন, জাতীয় পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি সোলেমান আলম শেঠ, সাবেক কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, মোবারক, তৌফিক আহম্মদ চৌধুরী, জাফর আলম চৌধুরী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, শৈবাল দাশ সুমন, আব্দুর সবুর লিটন, পুলক খাস্তগীর, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, এসরারুল হক ও জহুর লাল হাজারী প্রমুখ। এছাড়া মামলায় রয়েছে অজ্ঞাত আরো ২০০ হতে ৩০০ জন।

বার্তাবাজার/এস এইচ