নাম তার নবাব হলেও কর্মকান্ড ডাকাতের মতো। কক্সবাজার ডিজিটাল হাসপাতালে মাত্র দুটি সেলাই দিয়ে এক পর্যটকের নিকট ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডা. সলিমুল্লাহ খান নবাব নামের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এর আগেও বিভিন্ন সময় হাসপাতালটির এসব চিকিৎসকদের ভূল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ওয়াহিদুজ্জামান (২০) নামের এক (পর্যটক) রোগীর সাথে এই ঘটনা ঘটে। ভূক্তভোগী পর্যটক জানান, তিনি কুমিল্লা থেকে কক্সবাজার ভ্রমনে এসে মোটর সাইকেল দূর্ঘটনার শিকার হন। এতে তার মুখে হালকা আঘাত প্রাপ্ত হয়ে কক্সবাজার হাসপাতাল সড়কে ডিজিটাল হাসপাতালে ডাক্তার
সলিমুল্লাহ খান নবাবের কাছে চিকিৎসা নিতে যান। ডা. সলিমুল্লাহ তার কপালে এবং গালে ছোট দুটি সেলাই শেষে একটি ব্যবস্থাপত্র ধরিয়ে দিয়ে ১৫ হাজার টাকা দাবী করেন। ওই সময় হাতে ক্যাশ টাকা না থাকায় তিনি তার ব্যাংক কার্ড থেকে থাকা উত্তোলন করে চিকিৎসকের দাবীকৃত টাকা পরিশোধ করেন।
সমুদ্র কন্ঠের সম্পাদক অধ্যাপক মঈনুল হাসান পলাশ ‘বার্তা বাজার’ কে জানান, আহত ওয়াহিদুজ্জামান আমার বন্ধুর ছেলে। তার বাবার কাছ থেকে আহতের সংবাদ পেয়ে তাকে ডিজিটাল হাসপাতালে দেখতে যায়। সেখানে গিয়ে ডা. সলিমুল্লাহ সাথে কথা বলতে চাইলে পিয়ন বাঁধাদেন। পরে অফিসিয়াল ভিজিটিং কার্ড দিয়ে পরিচয় দেওয়ার পরে পিয়ন চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বলেন তিনি ব্যস্ত আছেন, পরে কথা বলবেন। আবার কিছুক্ষন পরে ডাক্তারের রুম থেকে ঘুরে এসে পিয়ন বল্লেন তিনি সেন্ট্রাল হসপিটালে চলে গেছেন। তিনি আরো বলেন, আমি একজন ট্যুরিজম বিভাগের শিক্ষক হিসেবে বলবো কক্সবাজারে পর্যটক বিমুখের অন্যতম কারণের মধ্যে এটিও একটি বড় কারণ। এসব কর্মকান্ডের খবরে অন্য পর্যটকদেরকেও নেতিবাচক ভাবে প্রভাবিত করে। তাই এসব বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন। এই বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ডা. সলিমুল্লাহর মুটোফোনে বারবার কল দিয়েও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ডা. সলিমুল্লাহ ডিজিটাল হসপিটালের পাশাপাশি সেন্ট্রাল হসপিটালেও রোগীদেখেন। তিনি জেলাবাসীর কাছে চিকিৎসকের মুখোশে একজন কসাই হিসেবে পরিচিত। তার কাছে কোন সার্জারী রোগী গেলেই বিনা রশিদে মৌখিক চুক্তিতে চিকিৎসার নামে রোগীদের পকেট কেটেনেন। তাছাড়া, হাসপাতালটিতে বিগত সময়ে এসব চিকিৎসকদের ভূল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর ঘটনার নজির আছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন মেডিসিন কোম্পানীর প্রতিনিধি জানান, ডা. সলিমুল্লাহ চিকিৎসকের নামে একজন কসাই। টাকা ছাড়া কিছুই বুঝেন না। মাসের শুরুতে নাম মাত্র কিছু কোম্পানীর কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে শুধু মাত্র নির্ধারিত কোম্পানীর মেডিসিনের বাহিরে অন্য কোন কোম্পানী ঔষুধ লিখেন না।
বার্তাবাজার/এস এইচ