দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে মাদকসেবীর ছুরিকাঘাতে হাসিফুল হাসান (২২) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছে।
গতকাল রবিবার ( সন্ধা ৭টায় উপজেলায় বুলাকীপুর ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। ছুরিকাঘাত করা ওই মাদকসেবী হলেন মোকছেদুল রহমান (২৬)। সে ওই ইউনিয়নের কৃষ্ণরামপুর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
অপর দিকে গুরুতর যখম হাসিফুল একই গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও আহত পরিবারের সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার ইট রাখাকে কেন্দ্র আহত হাসিফুল ও মাদকসেবী মোকছেদুলের পরিবারের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার এক সপ্তাহ পর গতকাল সন্ধ্যায় আহত হাসিফুল ও তার ভাগিনা মতিউর রহমান তাদের বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় ঘরের ভিতর শব্দ শুনে হাসিফুল তার ঘরে গিয়ে দেখে মোকছেদুল তার ঘরে ঢুকেছে। এসময় মোকছেদুল দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে হাসিফুল ও মতিউর তার কিছু নেন।
এক পর্যায়ে মোকছেদুল তার কাছে থাকা ছুরি দিয়ে হাসিফুলের গলায় এবং হাতে ছুরিকাঘাত করে এবং মতিউরের হাতে আঘাত করে। সেখানেই হাসিফুল জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যায় এবং আহত মতিউর চিকৎকার করলে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে স্থানীয়রা ঘাতক মোকছেদুলকে আটক করে মারপিট করে।
আহত মতিউর বলেন, মোকছেদুল পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার মামার বাড়িতে চুরি করতে এবং মামাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ঘরে প্রবেশ করেছিল। ঘাতক মোকছেদুল মাদক চোরাকারবারি এবং ডাকাত। এরআগে ডাকাতির চেষ্টাকালে সে হাতেনাতে আটক হয়েছিলো এবং ডাকাতির মামলাও রয়েছে। আমার মামা গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ শামস বলেন, তাদের অবস্থা শঙ্কামুক্ত। হাসিফুলের ডানহাত ও গলায় চাকু দিয়ে জখম করা হয়েছে। অপর দিকে আহত মোকছেদুলের হাত ও পায়ে ফ্যাকচার রয়েছে। সে কারণে তাকে রংপুরে রেফার্ড করা হয়েছে।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির বলেন, রবিবার মারামারির ঘটনায় আমরা অভিযোগ দেওয়ার জন্য উভয় পক্ষকে ডেকেছিলাম। তবে তারা গ্রাম্যশালিসের মাধ্যমে নিজেদের বিরোধ মিমাংসা করবে বলে জানায়। গতকাল আবারো ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। আহত হানিফুলের পরিবার সন্ধ্যায় থানার আসার কথা আছে।
বার্তাবাজার/রাআ