এবার এক ট্রিপে ১০২ মণ রুপালী ইলিশ নিয়ে আলীপুর মৎস অবতরণ কেন্দ্রে এফ.বি. নাহিদা আক্তার নামের
একটি মাছ ধরা ট্রলার এসেছে । শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) এসব মাছ আলীপুরে মেসার্স কামাল ফিস নামের একটি মৎস্য আড়তে নিয়ে আসা হয়। পরে মাছগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হয় ১৯ লাখ ২০ হাজার ৩’শ টাকায়। মাছগুলো মূলত গতকাল বৃহস্পতিবার কুয়াকাটা থেকে পূর্ব-দক্ষিণ দিকে ৯৫ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে ধরা পড়ে।

মৎস্য ব্যবসায়ী কামাল বেপারী জানান, এফ.বি. নাহিদা আক্তার নামের মাছ ধরা ট্রলারটি গত ১৬ সেপ্টেম্বর আলীপুর ঘাট থেকে সমুদ্রে ফিশিং করতে যায়। তিন দিন সমুদ্রের বিভিন্ন এলাকায় জাল ফেলে কাঙ্খিত মাছ পাইনি। বৃহস্পতিবার জাল ফেলে ১০২মণ মাছ পেয়েছে। মাছগুলো আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে এসে তিনটি সাইজে আলাদা করা হয়। তবে মাছের সাইজ ছোট হওয়ায় দাম কম পেয়েছে। ৬০০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের মাছ প্রতিমণ ২৫ হাজার টাকা, ৪০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতিমণ মাছ ২০ হাজার টাকা এবং ছোট সাইজের প্রতি মণ মাছ ১৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য বিভিন্ন প্রজাতির মাছ তিন লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৯ লাখ ২০ হাজার তিনশ’ টাকা হয়েছে। এতে খরচ হয়েছে ১০ লাখ টাকার বলে জানায় জেলারা।

এফবি নাহিদা আক্তার ট্রলারের মালিক আব্দুল মন্নান বেপারি বলেন, অনেক দিন ধরে সাগরে খুব কম মাছ ধরা পড়ছে। আমাদের লোকসান গুণতে হচ্ছিল। এই মাছ বিক্রি করে আগের লোকসান কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবো।

বার্তাবাজার/এমআই