সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতার বিলকাজলা গ্রামের বাসিন্দা ও তারালী কাজী আলাউদ্দীন ডিগ্রী কলেজের বিএম শাখার শিক্ষক নজরুল গাজী ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতার বিল কাজলা গ্রামের মৃত জলিল শেখের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক বাদি হয়ে নজরুলসহ ১৪ জন সন্ত্রাসীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারি অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন আদালতে এ মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার এজাহারভূক্ত আসামিরা হলেন: বিলকাজলা গ্রামের শহীদুল গাজী, সম্রাট গাজী, সুমন গাজী, নয়ন গাজী, নাঈম গাজী, সুজন গাজী, শুভ গাজী, পূর্ব নলতা গ্রামের জালাল, বাবুরাবাদ গ্রামের হাসান আলী, কাজলা গ্রামের আব্দুর রশীদ, ইন্দ্রনগর গ্রামের আনছার আলী বিশ্বাস, কলারোয়া উপজেলার ব্রজবাকসা গ্রামের আঃ গফুর ও বেলাল।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বাদী আব্দুর রাজ্জাকের সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানার বিলকাজলা মৌজার জেেএল নং-১/১, এস.এ দাগ নং-১৮৬, ১৯.৬৫ শতকের মধ্যে ১.৭৫ শতক রেকর্ডীয় সম্পত্তি ( ব্যবসায়ী দোকান) পূর্বে দখল করার পায়তারা করেও না পেরে ২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবর সকাল ৯ টার দিকে সন্ত্রাসী নজরুল গাজী ও তার বাহিনী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয় দিয়ে ক্ষমতার দাপট ও শক্তির মহড়া দিয়ে এলাকায় ত্রাশ সৃষ্টি করে মুদি দোকান ও মাছের আড়তে ভাংচুর করে লুটপাট করে নিয়ে যায়। এসময় চাঁদাবাজ নজরুল গাজীর নির্দেশে মুদি দোকান ও মাছের আড়তের মালামালসহ প্রায় ৯ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এঘটনায় ভুক্তভোগীরা কোথাও কোনো অভিযোগ জানালে হত্যার হুমকি দেন নজরুল।

দেশে সুশাসন না থাকায় ও আসামীরা স্বৈরাচারী সরকারের দোসর হওয়ায় বর্তমানে অনুকুল পরিবেশ পাওয়ায় মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলেও জানান মামলার বাদি।

এদিকে, নজরুল গাজীর বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের সত্যতা জানতে বিলকাজলা গ্রামের রবিন্দ্র সরকার, শহীদুল ইসলাম ও ইখলাছুরের কাছে জানতে চাইলে তারা অভিযোগের বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নজরুল জাল সার্টিফিকেট ও ভূয়া কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে অসদ‍ুপায়ে চাকরি নিয়েছে। তার বিরুদ্ধে শিক্ষা বিভাগ সঠিক তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বলে আমরা এলাকাবাসী আশা করি।

বার্তাবাজার/এমআই