কক্সবাজারের টেকনাফে কাস্টমস কর্তৃক উন্মুক্ত নিলাম ডাক সম্পন্ন হয়েছে। নিলামে সমস্ত পণ্য ছিলো মিয়ানমারের প্রসাধনী। সর্বোচ্চ নিলাম ডাককারী প্রতিষ্টান ছিলো ফারুক ট্রেডার্স। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টেকনাফ কাস্টমস শুল্ক গুদাম কার্যালয় প্রাঙ্গনে এই নিলাম ডাক অনুষ্টিত হয়।
কাস্টমস সূত্র জানায়, বিভিন্ন সময় সীমান্তে অভিযান চালিয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি, কোস্ট গার্ড, র্যাব অবৈধভাবে মিয়ানমারে পাচারকালে আটকৃত পণ্য কাস্টমস শুল্ক গুদামে জমা করেন। এসব পণ্য প্রতি কয়েকমাস পরপর কাস্টমস কর্মকর্তা, শুল্ক গোয়েন্দার কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, বিজিবি,কোস্ট গার্ড, র্যাব এর প্রতিনিধি, মিডিয়া ও নিবন্ধনকৃত নিলাম ডাককারীগণের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে নিলাম ডাক দেওয়া হয়।
নিলামকৃত পণ্যের মধ্যে ছিলো- হস্তচালিত কাঠের নৌকা ২০টি, বার্মিজ ড্রামা সেন্ট ১২ হাজার ৮৯৪ পিস, হেয়ার স্প্রে ২৬৪ পিস, হেয়ার জেল/তৈল ৫৭৯ পিস, সেনেকা মাটি (মিনি প্যাকেট) ২হাজার ৯০০ পিস, ফ্রেশ পাউডার (মিনি মেকাপ বক্স) ৮০৪ পিস, সেনেকা ক্রিম কোটা/ছোট/বড়/মাঝারী ১ হাজার ৬৩৪ পিস, সেনেকা লোশন ১৫, কুইনলী/নাইট ক্রিম ১ হাজার ৬ পিস, শ্যাম্পু ২ পিস, চোখের কাজল ১০ পিস, বার্মিজ তেঁতুল সাবান ৭৬২ পিস, বার্মিজ বাম ৭২০ পিস, ব্যাটারির পানি ৮৮৬ লিটার।
কাস্টমস গুদাম কর্মকর্তা রোমান মন্ডল জানান, সরকারি ভ্যাট আয়কর ছাড়া আজকের নিলাম মুল্য ছিল ৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা। কিন্তু কোন নিলাম ডাককারী ৫ লাখ ৫২ হাজার টাকায় নিলামে না উঠায় অবশেষে টেকনাফ স্থল বন্দর ব্যবসায়ী মেসার্স ফারুক ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী ওমর ফারুক নিলাম গ্রহন করেন। তিনিই ছিলেন সর্ব্বোচ নিলাম ডাককারী। তার নিলাম কৃত ভ্যট আয়কর সহ মোট মুল্য ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
আইনী প্রক্রিয়া শেষে নিলামকৃত সমস্তপণ্য স্থিতি অবস্থায় নিলাম ডাককারী প্রতিষ্টানের জিম্মায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত কঅরেন এই কাস্টমস কর্মকর্তা।