গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় সামিউর রহমান নামধারী এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে প্রবাসীর পৈত্রিক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে জমি দখল করা হয়েছে জানিয়ে গত রবিবার (১৬ই সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গাইবান্ধার অস্থায়ী ক্যাম্পে অভিযোগ দায়ের ও সাদুল্লাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।

ওই প্রবাসীর নাম রহিদুল ইসলাম শান্ত। তিনি উপজেলার ভাতগ্রাম এলাকার মৃত মকবুল হোসেন আকন্দের ছেলে। অভিযুক্ত সামিউর রহমান একই এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি গাইবান্ধা জেলা বিএনপির উপদেষ্টা-মন্ডলীর সদস্য।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী রহিদুল ইসলাম শান্তর সঙ্গে প্রতিবেশী সামিউল রহমানের দীর্ঘদিন ধরে বসতবাড়ির ভিটা ভোগদখল নিয়ে মনোমালিন্য চলে আসছিল। এ অবস্থায় রবিউল ইসলাম ও তার ভাই জীবিকার তাগিদে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। এরই সুযোগে গত ৫ সেপ্টেম্বর জমি দখলের হুমকি দেন সামিউর রহমান। পরদিন রহিদুলের বড় ভাইয়ের স্ত্রী মনিরা বেগম সাদুল্লাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর গত ৯ সেপ্টেম্বর সামিউল রহমান তার লোকজন নিয়ে ওই জমিতে থাকা একটি টিনসেড ঘর ও ইটের প্রাচীর ভাঙচুর করেন। পরে নিজেই ওই জমিতে প্রাচীর নির্মাণ শুরু করেন। পরে স্থাপনা ভাঙচুর ও জমি দখলের অভিযোগে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে অভিযোগ দায়ের ও সাদুল্লাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন রহিদুল ইসলাম শান্তর স্ত্রী শাপলা বেগম।

এ বিষয়ে রহিদুল ইসলাম শান্ত বলেন, সামিউল রহমান দলীয় কর্মীদের নিয়ে আমাদের স্থাপনায় অতর্কিত হামলায় ভাংচুর করাসহ জোরপূর্বক জমি দখলে নিয়েছে। একই সঙ্গে আমাদের স্বজনদের হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। ঘটনাটি থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে অবগত করা হয়েছে। থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আমরা কোনো সুরাহা পাচ্ছি না। আমরা আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তা অস্বীকার করে কৃষিবিদ সামিউল রহমান বলেন, ২০০৭ সালে রহিদুল ইসলাম গংদের কাছে জমি ক্রয় করেছি। তারা সেই জমি বুঝিয়ে না দেওয়ায় দাগ নম্বর অনুযায়ী তাদের স্থাপনা সরিয়ে ক্রয়কৃত জমিটি বের করে সেখানে অবকাঠামো নির্মাণ করছি।

তবে বিএনপির বেশকিছু নেতাকর্মীর সাথে কথা বললে তারা বলেন,অন্যায় করলে শাস্তি পাবে সে। দল অন্যায় ও জুলুমকারী নেতারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার। এদের কোন ছাড় নাই।

এ ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাদুল্লাপুর থানার এএসআই এরশাদ হোসেন বলেন, আমরা তাদের আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেব।

বার্তাবাজার/এমআই