কক্সবাজারের টেকনাফে ১০ কেজি স্বর্ণালংকার, স্বর্ণের বার, নগদ ৫ লক্ষ টাকা ও মিয়ানমারের মুদ্রা সহ দুইজন মিয়ানমার নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি। এসময় জব্দ করা হয়েছে ১০ ফোন সেট।
ধৃতরা হলো, মিয়ানমার মংডু শহরের সোদা পাড়ার মৃত ইউনুছের ছেলে মোঃ হাফিজুর রহমান (২৮) ও একই এলাকার মৃত সুলতানের ছেলে মোঃ আনোয়ার (৩০)।
সোমবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের অলিয়াবাদ এলাকা থেকে স্বর্ণের চালান সহ তাদের আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্ণেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।
আধিনায়ক জানান, পৌরসভা অলিয়াবাদ এলাকায় একটি বাড়িতে চোরাকারবারীরা পাচারের উদ্দেশ্যে স্বর্ণেরচালান ও মাদক লুকিয়ে রেখেছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায় বিজিবি। এসময় বিজিবি’র উপস্থিতি টেরপেয়ে পালানো সময় একটি ব্যাগ সহ মিয়ানমারের দুইজন নাগরিককে আটক করা হয়। পরে ব্যাগটি তল্লাশী চালিয়ে ১০.৫ কেজি বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণের বার, বাংলাদেশী নগদ প্রায় ৫ লক্ষ টাকা ও মিয়ানমার মুদ্রা আড়াই লক্ষ কিয়াত এবং ১০টি মোবাইল ফোন সেট জব্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারীরা মিয়ানমার হতে স্বর্ণালংকার এবং মাদকদ্রব্য এনে দেশীয় বাজারে বিক্রির কথা স্বীকার করেছে।
আইনী প্রক্রিয়া শেষে জব্দকৃত স্বর্ণ ও অর্থ কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (ট্রেজারী শাখায়) জমা রাখা হবে এবং ধৃতদের সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজিবির এই কর্মকর্তা।
স্থানীয়রা জানায়, ধৃতরা মাসখানেক আগে অবৈধভপথে মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ করে অলিয়াবাদ এলাকার প্রবাসী আব্দুল হকের ভাড়া বাসায় উঠে। সেখানে বিভিন্ন সময় সন্দেহজনক রোহিঙ্গা লোকজনের যাতায়াত ছিলো।গতকাল বিজিবি অভিযান চালিয়ে স্বর্ণালংকার সহ অন্তত ১৫ জন নারী পুরুষকে আটক করে।
তাদের দাবী, অলিয়াবাদ বিভিন্ন ভাড়াবাসায় সম্প্রতি বিপুল সংখ্যক অবৈধ রোহিঙ্গা ঠাঁই নিয়েছে। তাদের গতিবিধি সন্দেহ জনক। তাদের সাথে স্থানীয় চিহ্নিত লোকজনের আসা যাওয়া চোখে পড়ার মতো। তাদের অধিকাংশ রোহিঙ্গারা টেকনাফ স্থল বন্দরের এক বড় মাপের ব্যবসায়ীর আশ্রয়ে রয়েছে বলে জানায়। ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগ বেশ পুরানো।
বার্তাবাজার/এমআই