ভারতে আরজি করকাণ্ডের মধ্যেও থেকে নেই ধর্ষণ- যৌন নিপীড়নের ঘটনা। এবার দুষ্কৃতকারীদের যৌন লালসা থেকে রেহাই মিলল না অযোধ্যার রাম মন্দিরের সাফাই কর্মী এক তরুণী ছাত্রীরও। রাম মন্দিরের ওই তরুণী সাফাই কর্মীকে দুই দিন ধরে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওই ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্রীটিকে একটি গেস্ট হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বন্ধুদের সঙ্গে মিলে তাকে গণধর্ষণ করা হয়। অভিযুক্তরা সকলেই অযোধ্যার বাসিন্দা। টানা দুদিন ধরে চলে এই নৃশংস কাণ্ড। এরপর কোনোরকমে সেখান থেকে পালিয়ে যায় সে। নিজের বাড়িতে ফিরে আসার পরও নিস্তার মেলেনি। ক্রমাগত গোটা ঘটনাটি চেপে যাওয়ার জন্য আসতে থাকে হুমকি।
পুলিশ জানিয়েছে, অযোধ্যার এক কলেজের বিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ওই তরুণী। পাশাপাশি রাম মন্দিরের সাফাই কর্মী হিসাবেও কাজ করতেন। তরুণীর দাবি, ওই গেস্ট হাউস থেকে বংশ চৌধুরী নামে এক পরিচিত তাকে বনবীরপুরে একটি গেস্ট হাউসে নিয়ে যায়। সেখানে তার উপরে চলে যৌন নির্যাতন। তরুণীর কথায়, “গত ১৬ আগস্ট ওরা আমাকে নিয়ে যায়। ১৮ তারিখ ছেড়ে দেয়।
এখানেই শেষ নয়। ধর্ষণের ঘটনা বাইরে বললে তরুণী ও তার পরিবারকে খতম করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। পুলিশের কাছে ওই তরুণী জানিয়েছেন, “ওরা আমাকে ও আমার পরিবারকে শেষ করে দেবে বলে হুমকি দিচ্ছিল। তাই ভয়ে পুলিশের কাছে যেতে পারিনি। কিন্তু গত ২৫ আগস্ট যখন মন্দিরে যাচ্ছিলাম সেই সময় বংশ আমাকে ফের অপহরণ করে। গাড়িতে বংশ ছাড়াও ছিল উদিত কুমার, শতরাম চৌধুরী ও দুজন অপরিচিত লোক। গাড়ির মধ্যেই ওরা আমাকে যৌন হেনস্তা করার চেষ্টা করে। আমি বাধা দিলে ধস্তাধস্তি হয়। এর মধ্যেই গাড়িটি একটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। তার পরই ওদের খপ্পর থেকে পালাতে পারি। এর পরই আমি পুলিশে অভিযোগ করি।”
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই যোগী-বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে সমাজবাদী পার্টি। দলের সভাপতি অখিলেশ যাদব বলেন, এই ঘটনা প্রমাণ করে দিল রাজ্যের প্রকৃত অবস্থা কতটা মারাত্মক। রামরাজ্যের কথা বলা মোদি-যোগীর রাজ্যে নারীদের অবস্থা কতটা ভয়ংকর, সেটা তো আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল।
বার্তাবাজার/এসএম