ছাত্র-জনতার চাপের মুখে পড়ে ঘুষের টাকা ফেরত দিলেন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো: বজলুল হক। এ সময় তিনি এমন কাজ আর কখনো করবেন না বলে অঙ্গীকার করেন এবং পূর্বের সকল কর্মকাণ্ডের জন্য উপস্থিত সবার কাছে ক্ষমা চান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পাহাড়পুর ইউনিয়নের আউলিয়া বাজার ভূমি অফিসে দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো:বজলুল হকের সঙ্গে ছাত্র-জনতা দেখা করে ঘুষের নেয়ার প্রমাণসহ জিজ্ঞাসাবাদ করেন। স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গত ২০২৩ সালের মার্চে অফিস সহায়ক আবুল কাশেমের বদলি হয় কিন্তু আবুল কাসেম নিয়মিত আউলিয়া বাজার ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অফিস করার মাধ্যমে এসব অপকর্মের সমন্বয় করে আসছিল।
এ সময় উপস্থিত পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটিদাউদপুর গ্রামের সাজেদা খাতুনকে ৮ হাজার টাকা, একই গ্রামের বিউটি আক্তারকে ৮ হাজার টাকা, সেজামুড়া গ্রামের শামীমা নাসরিনকে ৭ হাজার টাকা, পাহাড়পুর গ্রামের রায়হান উদ্দিনকে ১০ হাজার টাকা ও কামালমুড়া গ্রামের দুর্জয়কে ৬ হাজার টাকা ফেরত দেন তিনি। বাকি যাদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছিলেন তাদের টাকা ফেরত দিয়ে দিবে বলে তিনি অঙ্গীকার করেন। এ সময় ছাত্র-জনতার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- মো:সুমন হাজারী, সবুজ আহমাদ, রানা আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, নাইম চৌধুরীসহ প্রায় শতাদিক ছাত্র-জনতা।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বজলুল হক বলেন, ছাত্র-জনতা আমাকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও পরামর্শ দিয়ে যান। বাকি কোনো বিষয়ে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বার্তাবাজার/এস এইচ