কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত সকল টিচারদের বেতন বৃদ্ধিসহ ৪ দফা দাবী বাস্তবায়নে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচী পালিত হয়।
দাবীগুলো হলো, সর্বনিম্ন বেতন বাইশ হাজার পাঁচশত টাকা, শিক্ষিকাদের মাতৃত্বকালীন ছুটি এবং ভাতা প্রদান করতে হবে, ক্লাস্টার সিস্টেম বাতিল করা এবং বিনা কারণে শিক্ষক /শিক্ষিকা ছাঁটাই না করা, প্রতি বৎসর ২ ঈদে উৎসব ভাতা প্রদান।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উখিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচীতে এসব দাবি তুলে ধরেন ক্যাম্পে কর্মরত টিচার’রা।
এসময় নানান ধরনের দাবী সংবলিত পোষ্টার, পেস্টুন হাতে নিয়ে ৩২টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সকল হোস্ট টিচার উপস্থিত ছিলেন। তবে, ঘন্টাখানেক কক্সবাজার- টেকনাফ সড়কে যানচলাচল বন্ধ ছিল। টিচারদের মধ্যে থেকে বক্তব্য দিয়েছেন, বোরহান উদ্দিন, মোহাম্মদ শামিম, ঈসমাইল ও ইমতিয়াজ। তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চাকুরী করছি। এনজিও রা বৈষম্য করছে। প্রতি বছর রোহিঙ্গা শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো হয়। কিন্তু আমাদের বেতন বাড়ানো হয় না। কথায় কথায় আমাদের ছাঁটাই করে।
উক্ত মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচীতে উখিয়া সদর রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাদমান জামি চৌধুরী আন্দোলনকারীদের যুক্তিক আন্দোলনে সমথর্ন দিয়ে তাদের সাথে একত্বতা ঘোষণা করে বলেন, আমার ভাই বোনদের দাবি গুলো মানতে হবে। না হয় এই আন্দোলন চলমান থাকবে। আমি সবসময় তাদের পাশে আছি। মানববন্ধন শেষে কর্মরত সকল হোস্ট টিচারদের একটি প্রতিনিধি দল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে স্বাক্ষাত করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত হোস্ট টিচারদের সকল দাবী দাওয়া মনোযোগ সহকারে শুনেছি এবং বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ে জানানো হবে।
বার্তাবাজার/এস এইচ