মাদারীপুরের রাজৈরে নেশা ও জুয়ার টাকার জন্য স্ত্রী জাহেদা বেগমকে(৩৫) হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার নেশাখোর স্বামীর বিরুদ্ধে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) রাতে স্বামীর বাড়ী উপজেলার খালিয়া ইউনিয়নের বৌলগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে শুক্রবার (১৬ জুন) সকালে ময়নাতন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী রুহুল আমিনকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।

নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসি জানায়, উপজেলার বৌলগ্রামের নুরু শেখের ছেলে অটো চালক রুহুল আমিন নেশা ও জুয়া খেলার দেনার টাকার জন্য প্রায়ই তার প্রবাসী স্ত্রী সদ্য এক মাসের এক ছেলে সন্তানসহ তিন সন্তানের জননী জাহেদাকে মারধর করতো। এরই জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায় স্ত্রী জাহেদাকে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে স্বামী রুহুল আমিন। পরে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে।

নিহতের বড় ভাই মো. হক শেখ ও বোন মেহেলা বেগম বলেন, আমার বোন জাহেদা বিদেশ থাকতো। আমাদের বোন জামাই নেশাখোর রুহুল আমিন জানতো তার স্ত্রীর কাছে ১০লক্ষ টাকা আছে। সেই টাকার জন্য প্রায় আমার বোনকে মারধর করতো। আমার বোন জামাই রুহুল জাহেদাকে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। আমরা এ হত্যাকান্ডের বিচার চাই।

নিহতের মেয়ে রিয়া (১৪) জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে আমি ঔষধ আনার জন্য বাজারে যাই। এসে দেখি আমার মা ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে। তবে আমার মা বিদেশ থাকতো। বাবার সন্দেহ আমার মার কাছে ১০ লক্ষ টাকা আছে। এনিয়ে গত তিন দিন আগে আমার মার সাথে বাবার ঝগড়া হয়।

অভিযুক্ত স্বামী রুহুল আমিনের পরিবার অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, রুহুলের স্ত্রী জাহেদা আত্মহত্যা করেছে ।

রাজৈর থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী রুহুল আমিনকে আটক করা হয়েছে।

বার্তাবাজার/এম আই