বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ১৭তম কারামুক্তি দিবস আগামীকাল বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর)।
২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্যান্টনমেন্টের মঈনুল রোড়ের বাড়ি থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পরে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে দলীয় প্রধানের মুক্তির এ দিনটিকে বিএনপি কারামুক্তি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
২০০৭ সালে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করার পর আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করলে সংসদ ভবন এলাকার একটি বাড়িকে সাবজেল ঘোষণা করে তাকে সেখানে রাখা হয়। এরপর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া মুক্তি পান। দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত হয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজের একাদশ ও দ্বাদশ কারামুক্তি দিবসেও কারাগারেই ছিলেন। তবে দুর্নীতির দুই মামলার দণ্ড থেকে গত ৬ আগস্ট মুক্তি পেয়েছেন খালেদা জিয়া। রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি এখন গুলশানের বাসা ফিরোজায় মানসিকভাবে স্বস্তিতে দিন কাটাচ্ছেন এবং আগের চেয়ে ভালো আছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন তিনি। এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা হত্যা, নাশকতা ও রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১ মামলার শুনানির তারিখ ফের পিছিয়েছে। গতকাল সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন আগামী ৩১ অক্টোবর শুনানির দিন ঠিক করেছেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী সৈয়দ মো. জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জানান, প্রত্যেকটি মামলা বাতিলের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু হাইকোর্টে এখনো আবেদনগুলোর শুনানি হয়নি, তাই আমরা হাইকোর্টের আদেশ দাখিলের জন্য সময় চেয়েছি। এ প্রেক্ষিতে বিচারক আগামী ৩১ অক্টোবর শুনানির দিন দিয়েছেন।
বার্তাবাজার/এস এইচ