রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এনজিও সংস্থা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বেপরোয়া এম্বুলেন্সের চাপায় এক রোহিঙ্গা শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে উখিয়ার কুতুপালংস্থ ৩নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত জুবাইরা (৪), ঐ ক্যাম্পের জি ব্লকের মোহাম্মদ জুবায়ের এর কন্যা।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জানা গেছে, ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনের হাসপাতালে ব্যবহৃত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এম্বুলেন্সটি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে অবস্থান করা জুবাইরাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘাতক চালকের শাস্তি দাবী করেছেন নিহতের বাবা জুবায়ের। কান্নারত অবস্থায় তিনি বলেন, ” আমরা রোহিঙ্গা বলে কোনো বিচার নেই আমাদের। অদক্ষ ড্রাইভার আমার মেয়েটাকে মেরে ফেললো।”

দূর্ঘটনা প্রসঙ্গে ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত ১৪ এপিবিএনের অধীনে ৩নং ক্যাম্প এর দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার অংশু কুমার দেব বলেন, ” চালকের ভুলের কারণে এই দূর্ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি, ঘটনার পর চালককে ক্যাম্প ইনচার্জ এর কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।” এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর সহ বিভিন্ন দাতা সংস্থার সহযোগিতায় রোহিঙ্গা মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনা করে থাকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এর আগেও সংস্থাটি পরিচালিত যানবাহন দ্বারা ক্যাম্প এলাকায় সংঘটিত দূর্ঘটনায় প্রাণহানিসহ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। গণস্বাস্থ্যের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মং ইউ চিং মারমা জানিয়েছেন, ” আমাদের চালকরা প্রশিক্ষিত, দূর্ঘটনা কেন ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইন অনুযায়ী যা করণীয় সে পদক্ষেপ নিতে সংস্থার পক্ষ থেকে সহযোগিতা থাকবে।”

অভিযোগ আছে, নিজস্ব নিয়োগ ছাড়াও অপরিপক্ক চালকদের মাধ্যমে এম্বুলেন্স সহ অন্যান্য যানবাহন ব্যবহার করে থাকে গণস্বাস্থ্যের সাথে চুক্তিবদ্ধ তৃতীয়পক্ষ (ভেন্ডার)।

বার্তাবাজার/এস এইচ