‘ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী কি ইন্তেকাল করেছেন’ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন ইসলামী আন্দোলনের নেতারা। এই বক্তব্যের জন্য তারা সিইসির মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তার চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন। সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন চরমোনাই পীরের দলের নেতারা।

শুক্রবার (১৬ জুন) জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে দলটির নেতারা এসব কথা বলেন। বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীমের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) পদত্যাগের দাবিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোছাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি বলেন, ‘বরিশালের মানুষ ভোট দেবে হাতপাখায়, কিন্তু আওয়ামী লীগের লোকেরা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে জোর করে নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করেছে। সেখানে নৌকা নয়, হাতপাখাই জয়ী হয়েছে।’

এই নেতা বলেন, ‘ইভিএমে মানুষ ভোট দিয়েছে হাতপাখা প্রতীকে, চলে গেছে নৌকায়। বরিশাল ও খুলনায় নৌকার লোক কেমন আছে, সেটা আমরা ভালো করেই জানি। সবাই নৌকাকে হটিয়ে হাতপাখাকে জেতানোর জন্যই ভোট দিয়েছেন। ইভিএম নামক যন্ত্র ব্যবহার করে সেই ভোট নৌকাতে দেখানো হয়েছে।’

মোছাদ্দেক বিল্লাহ বলেন, ‘মুফতি ফয়জুল করীম ইন্তেকাল করেছেন কি না, এমন বক্তব্য দিয়ে তিনি (সিইসি) নিজেকে মানসিক রোগী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তার আর সিইসির দায়িত্বে থাকার যোগ্যতা নেই। এ সিইসিকে আর দায়িত্বে রাখা যাবে না। সিইসিকে মানসিক চিকিৎসা করাতে হবে।’

সমাবেশে দলটির সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, ‘শুধু বরিশাল আওয়ামী লীগ নয়, সরকার ও সারাদেশের আওয়ামী লীগ এ হামলায় জড়িত। আওয়ামী লীগের নেতা ও সরকারের মন্ত্রী থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন, সবাই এ পাতানো নির্বাচনে জড়িত।’

বার্তাবাজার/এম আই