উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) শিক্ষকবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এজন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টার সুদৃষ্টি কামনা করে সাত দিনের আল্টিমেটাম।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে দুপুর ১ টার দিকে ছাত্র-শিক্ষক একত্রিত হয়ে সম্মিলিতভাবে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বক্তব্য বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো উপ-উপাচার্য, ডিন এবং অধ্যাপক না থাকার কারণে জরুরি আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কাউকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। এমতাবস্থায়, বিগত এক মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়টি কার্যত অভিভাবকহীন অবস্থায় রয়েছে। ফলশ্রুতিতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় আর্থিক, প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম এবং হলসমূহ চালু রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।

বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে তারা আরো বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ, পরিবহন ও হলসমূহ পরিচালনায় জ্বালানি সংকট সহ অন্যান্য আর্থিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় বর্তমানে সুষ্ঠুভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম চালু রাখা দুষ্কর হয়ে পড়ছে। নির্ধারিত সময়ে ক্লাস-পরীক্ষা শেষ না হওয়াতে ইতিমধ্যে সৃষ্ট সেশনজট আরো দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সেশনজট নিরসনকরে, একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পুরোপুরি সচল করতে অতিসত্বর উপাচার্য নিয়োগের বিকল্প নাই।

এসময় অন্তবর্তীকালীন সরকরের প্রধান উপদেষ্টা এবং শিক্ষা উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাদের দাবি তুলে ধরেন।

দাবি:

বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সংকট নিরসনে অবিলম্বে স্বনামধন্য উচ্চ প্রফাইল সম্পন্ন অধ্যাপক ও গবেষকবৃন্দের মধ্য থেকে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রদান করতে হবে। যা দিতে হবে ১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসারে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

এসময় তারা আশংকা প্রকাশ করে বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে এই ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে।