ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী কর্তৃক হেযবুত তওহীদের উপর ষড়যন্ত্র করে হামলার এবং ধ্বংস করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সম্মেলন কক্ষে এই অভিযোগ করে হেযবুত তাওহীদের নেতাকর্মীরা। দলটির মতাদর্শে বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন।

সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা মহানগর হেযবুত তাওহীদের আমীর ডা. মাহফুজুর রহমান মাহফুজ। এছাড়াও এসময় উপস্থিতি ছিলেন ঢাকা মহানগর হেযবুত তাওহীদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী, মুখপাত্র মশিউর রহমান ও দপ্তর সম্পাদক সামসুল হুদা।

লিখিত বক্তব্যে আমীর বলেন, সারাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে হেযবুত তওহীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে একটি ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী হেযবুত তওহীদ সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংস্কারমূলক ইসলামি আন্দোলন। যা নিঃস্বার্থভাবে মানবতার কল্যাণে নিজেদের কষ্টে অর্জিত অর্থ ব্যয় করে যাবতীয় উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, নারী নির্যাতন ইত্যাদির বিরুদ্ধে ইসলামের প্রকৃত আদর্শ প্রচারের কাজ করে। দেশে যখন যে সরকার এসেছে সেই সরকাকেই হিযবুত তাওহিদ তাদের কার্যক্রমের ব্যাপারে অবগত করেছে। কিন্তু শুরু থেকেই একদল উগ্রবাদী, সাম্প্রদায়িক, ধর্মান্ধ গোষ্ঠী হেযবুত তওহীদের নিকট আদর্শিকভাবে পরাজিত হয়ে নানান ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “তাদের লাগাতার ষড়যন্ত্র ও হামলায় এ পর্যন্ত আমাদের ৫ জন সদস্য শহীদ হয়েছেন, আমাদের শতশত ভাইবোন আহত হয়েছেন। ২০০১ সনে তারা আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতার পিতৃনিবাস করটিয়া জমিদার বাড়িতে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ পর্যন্ত চার বার তারা নোয়াখালীতে অবস্থিত আন্দোলনের বর্তমান এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের গ্রামের বাড়ি ভাঙচুর ও ভস্মীভূত করেছে। ২০১৬ সালে তাঁর ও অন্যান্য সদস্যদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, নির্মাণাধীন মসজিদ গুড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি আন্দোলনের দুইজন সদস্যকে জবাই করে মরদেহ পুড়িয়ে দিয়েছে। নয় বছর হয়ে গেলেও এ হত্যাকাণ্ডের বিচারকার্য শুরুই হয়নি।”

লিখিত বক্তব্যে হেযবুত তাওহীদের আমীর এর প্রতিবাদে অন্তর্বতী সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, ” আমাদের দাবি যারা বেআইনি সমাবেশে একত্রিত হয়ে হামলার হুমকি ও উল্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। উগ্রবাদীদের অনুসারী, যারা ফেসবুকে হামলার হুমকি দিয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ঢাকার উত্তরাতে অবস্থিত আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও হামলার হুমকি গত একমাস থেকে দেওয়া হচ্ছে এবং উগ্রবাদীরা স্থানীয়ভাবে অপপ্রচার ও উল্কানি অব্যাহত রেখেছে। তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে নোয়াখালীসহ সারা বাংলাদেশে আমাদের উপর যতগুলো হামলা হয়েছে সেসব হামলার তদস্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।”

এসময় মুখপাত্র মশিউর রহমান বলেন, ” সেই উগ্রবাদী গোষ্ঠী গত ৭ সেপ্টেম্বর হেযবুত তাওহীদ কে ধ্বংস করে দেয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছে। তারা আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা সম্পন্ন করবে বলেও জানিয়েছে। যদি এর সঠিক পদক্ষেপ অন্তর্বতী সরকার গ্রহণ না করে, তবে আমরা আমাদের জানমাল রক্ষায় আমাদের মতো ব্যবস্থা নেব। যার ফলাফল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কাছে ভালো যাবে না।”

উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে উপমহাদেশের প্রখ্যাত পন্নী পরিবারের সন্তান এমামমুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী হেযবুত তাওহীদ আন্দোলনটি প্রতিষ্ঠা করেন।