ভারতে থাকতে না পারার শঙ্কায় ভুগছেন নির্বাসিত ও বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তার। ভারতে বসবাসের অনুমতি নবায়ন না হলে বড় ধরনের হুমকির মধ্যে পড়বেন। একইসাথে দেশটিতে থাকতে না পারলে তিনি মারা যাবেন বলেও জানিয়েছেন। চলতি বছরের ১৭ জুলাই ভারতের বসবাসের অনুমতির মেয়াদ শেষ হয় তসলিমা নাসরিনের। এখন পর্যন্ত বিজেপি সরকার তার থাকার মেয়াদ বাড়ায়নি।
দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে ভারত সরকার তার বসবাসের অনুমতি নবায়ন না করায় এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তসলিমা নাসরিন। রবিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ‘আজতক বাংলা’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান।
আজতক ডট ইনের সম্পাদক কেশবানন্দ ধর দুবেকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে তসলিমা বলেন, আমি ভারতে থাকতে পছন্দ করি। কিন্তু প্রায় দেড় মাস হয়ে গেছে। এখনো আমার থাকার মেয়াদ বাড়ায়নি কেন্দ্রীয় সরকার। বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন না।
আমি জানি না, কার সঙ্গে কথা বলব? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন? আমি কারো সঙ্গে কথা বলি না। আমি অনলাইনে চেক করি। কিন্তু এখনো কোনো নিশ্চয়তা পাইনি। যা আগে কখনো ঘটেনি।
ভারতে বসবাসের অনুমতি নবায়ন করার পথে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কিনা-এমন প্রশ্নে তসলিমা বলেন, বাংলাদেশ ও সেখানকার রাজনীতির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি ইতোমধ্যে ভারতে বসবাস করছি। আমি এখানে একজন সুইডিশ নাগরিক হিসেবে থাকি। বাংলাদেশে বর্তমান টালমাটাল পরিস্থিতির আগেই আমার থাকার মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে। ২০১৭ সালেও এমন সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় সেটি প্রযুক্তিগত সমস্যাই ছিল।
ভারতে বসবাসের অনুমতি নবায়ন না হলে বড় ধরনের হুমকির মধ্যে পড়বেন বলেও জানান তিনি। তসলিমা বলেন, মানুষ মনে করে আমার সঙ্গে সরকার ও নেতাদের ঘনিষ্ঠতা আছে। তা কিন্তু নয়। পারমিট না পেলে আমি মারা যাব। এখন কোথাও যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই।
বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত হওয়ার জন্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভূমিকা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তসলিমা।
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত হওয়ার পর বেশ কয়েক বছর ইউরোপে বসবাস করেছিলেন তসলিমা। পরে ২০০৪ সালে তিনি ভারতে চলে আসেন। ভারতেও বেশ কয়েকবার অবস্থান বদলের পর ২০১১ সাল থেকে তিনি দিল্লিতে বসবাস করছেন। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
বার্তাবাজার/এসএম