বগুড়ায় আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় তিনি মামলা করার ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে তিনি এই মামলা করবেন। বর্তমানে তিনি বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল চত্বরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
হিরো আলম বলেন, ‘আমার ওপর যারা হামলা করেছে ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করা গেছে। সব মিলিয়ে আটজন এই হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও আওয়ামী লীগের লোকজন ছিল। তারা হলো রনি, নাজমুল শামীম নুরুনবী।
এর মধ্যে রনি, নাজমুল বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত। নুরুনবী আওয়ামী লীগের। আওয়ামী-বিএনপি মিলেই আমাকে মারধর করেছে।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল (রবিবার) বগুড়া জেলা বিএনপি একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে। তাতে তারা বলেছে আমি ভিউ বাড়ার জন্য নাটক করেছি। ইউটিউবে বিজনেজ করার জন্য নাটক করেছি। এই বক্তব্যের কারণে আমি তাদের ধিক্কার জানাই।’ তিনি বলেন, ‘আমি জেলা বিএনপির সভাপতি বাদশা ভাই, বিএনপির হেনা ভাইকে শ্রদ্ধা করি। বিএনপিকে ভালোবাসি।
হিরো আলম বলেন, ‘একজন আরেকজনকে উসকে দিয়ে আমার ওপর হামলা করেছে। দুটি কারণে আদালত চত্বরে আমাকে মারধর করা হয়েছে। একটি হলো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ এনে ও আরেকটি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায়। রবিবার দুটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা আমাকে মারধর করেছে।’
হামলাকারীদের বিরুদ্ধে শিগগিরই মামলা করা হবে জানিয়ে হিরো আলম বলেন, ‘হাসিনা সরকার পতনের সময় আমি সামনের সারিতে থেকে আন্দোলন করেছি। তার পরও আমার ওপর হামলা করা হলো। আমার ইমেজকে নষ্ট করার জন্য একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে।’
গতকাল রবিবার বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হিরো আলম ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে প্রচারণার সময় মারধর ও ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি একই আসনে উপনির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে মামলা করেন। মামলায় ওবায়দুল কাদের, বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়। দুপুর ১২টার দিকে আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মামলার বিষয়ে কথা বলার সময় পাঁচ থেকে সাতজন যুবক তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ এনে অতর্কিত হামলা চালায়। এই ঘটনার পর রবিবার সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বলেন, ‘হিরো আলমের ওপর বিএনপির কেউ হামলা করেনি।’
বার্তাবাজার/এমআই