বগুড়া সোনাতলায় বসতবাড়ির সীমানাকে কেন্দ্র করে মারপিট ও বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহষ্পতিবার (১৫ই জুন) উপজেলার ছোটবালুয়া (কারিগরপাড়া) গ্রামের হবিবর প্রাং এর ছেলে বুদু প্রাং এর বসতবাড়িতে সীমানা নিয়ে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।
এঘটনায় বুদু প্রাং সোনাতলা থানায় বাদী হয়ে দুইজন অভিযুক্ত ও ৩/৪ জন অজ্ঞত আসামি করে অভিযোগ দ্বায়ের করেন। ওইদিনই সোনাতলা স্বাস্থ্য কম্প্লেক্সে ভর্তি হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এসময় আনুমানিক সাড়ে ৬টায় মুখচেনা কে বা কারা ওই ভুক্তভোগীর বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এতে করে তার ঘরে রক্ষিত ২ লক্ষাধিক টাকা ও দোকানের প্রায় ৫০ হাজার টাকার মালামাল পুরে ভষ্মীভূত হয়।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার পাশ্ববর্তী মোঃ ছাত্তার প্রাং এর ছেলে শাকিল মিয়া, শাহিন প্রাংসহ অজ্ঞত ৩/৪ জন জমির পায়ে হাটার রাস্তা বন্ধ করা সংক্রান্তে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে, অভিযুক্তরা হাতে লাঠি-সোডা, কুড়াল, লোহার রড, ধারালো চাকু ইত্যাদি সহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভুক্তভোগীর বাড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এসময় আসামী শাকিল মিয়া খুন করার কথা বলে এবং এলোপাথাড়ি মারপিট শুরু করে শাহিন প্রাংসহ অজ্ঞত ৩/৪ জন। এসময় ভুক্তভোগী চিৎকার করিলে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের উপস্থিতিতে হত্যার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে৷ এঘটনায় অভিযুক্তের মারপিটের স্বীকার হন বাদী মোঃ বুদু মিয়া, মোঃ হবিবর প্রাং, মোছাঃ চম্পা বেগম প্রমূখ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির আসবাব পত্র, কাপড়, ফ্যানসহ ইলেক্ট্রনিক বোর্ড আগুনে পুড়ে ভষ্মীভূত হয়।
এসময় পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা মনিকা খাতুন জানান, আনুমানিক সন্ধা সাড়ে ৬টায় বাড়ির বাহিরে এসে দেখি এই বাড়িতে আগুন লেগেছে, তা দেখে চিৎকার দেই। এসময় আমার চিৎকারে অজ্ঞাত একজনকে ওই বাড়ির জানালা দিয়ে কিছু ফেলে রেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পড়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে অগ্নিনির্বপণ করে।
এঘটনায় সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সৈকত হাসানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, অগ্নিসংযোগের ঘটনা আমার জানা নেই, তবে মারপিটের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বার্তাবাজার/এম আই