ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযাগে দুই নামধারী সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। সদর উপজেলা বাসুদেব ইউনিয়নের জারুইলতলা গ্রামে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আটককৃত ভূয়া সাংবাদিকরা হলেন, জেলার বিজয়নগর উপজেলার মেরাশানি ইউনিয়নের মো. ফয়েজ উদ্দিন মিয়ার ছেলে ফজলে এলাহী প্রকাশ উজ্জল ভূইয়া (৫০) ও একই উপজেলার সিংগারবিল এলাকার বীর মুত্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়ার ছেলে ইয়ানুর লিটন স্বাধীন (৩৩)। এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি লোগসহ মাইক্রোফোন ও আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় জারুইলতলা গ্রামের বাসিন্দা ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়র সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বাদী হয় তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, শনিবার রাতে জহিরুলের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জামালের বাড়িতে যায় দুই ‍ভূয়া সাংবাদিক উজ্জল ও লিটন। সেখানে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জামালের মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন প্রমানাদি খুজতে থাকেন সাংবাদিকরা। বিভিন্ন কাগজপত্র তিনি দেখানোর একপর্যায়ে সাংবাদিকরা আবু জামালের কমান্ডার সনদ দেখতে চান। কিন্তু তার কাছে কমান্ডার সনদ না থাকায় দুই ভূয়া সাংবাদিক তার কাছে ১২ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে সাংবাদিকরা ওই মুক্তিযোদ্ধার নামটি ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় দিয়ে দিবেন বলে ভয় দেখান। এসময় আবু জামাল তাদের ৫ হাজার টাকা দিয়ে দেন। বিষয়টি সন্দেহ হলে মুক্তিযোদ্ধার ছেলে জহিরুল তাদেরকে আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানতে পারেন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তারা চাঁদাবাজি করে। পরে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করা হলে পরে পুলিশ দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, চাঁদাবাজি ও প্রতারণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


বার্তাবাজার/এস এইচ