বাংলাদেশে আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা-ইউএনএইচসিআরকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি যে, আমাদের পক্ষে আরও রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা নতুন আগতদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছিল, যা সরকার দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। মানবিক কারণে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সহায়তা দিয়েছে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, যারা আমাদের কাছে পরামর্শ নিয়ে আসে বা যারা আমাদের পরামর্শ দিতে চায়, তারা যেন রোহিঙ্গাদের নিয়ে যায়। সরকার যেখানে সম্ভব সেখানে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কাজ করছে, যদিও মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত সম্পূর্ণভাবে সিল করা একটি চ্যালেঞ্জ। গত ৩ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সশস্ত্র সংঘাত থেকে বাঁচতে প্রায় আট হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলায় ১০ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের বেশিরভাগই মিয়ানমারের সামরিক অভিযানের পরে এসেছে। এ ঘটনাকে জাতিসংঘ ‘জাতিগত নির্মূলের সুস্পষ্ট উদাহরণ’ বলেছে এবং অন্যান্য অধিকার গোষ্ঠী এটিকে ‘গণহত্যা’ বলেও অভিহিত করেছে। মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হলেও রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে আস্থার ঘাটতির কারণে দুবার প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। গত সাত বছরে একজন রোহিঙ্গাও মিয়ানমারে ফেরত যায়নি।
বার্তাবাজার/এস এইচ