ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলের মণিপুরে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের জিরিবাম বিভাগে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। নতুন করে ব্যাপক সহিংসতা দেখা দেওয়ায় পদত্যাগ করতে পারেন রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ফেডারেল শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ১৬ মাস আগে মণিপুরে প্রথম সহিংসতা শুরু হয়। গত বছর মেইতি জাতিগোষ্ঠীরা সংখ্যালঘুর মর্যাদা পেতে দাবি জানায়। এরপর রাজ্যের হাইকোর্ট এটি বিবেচনা করতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু মেইতিদের এই দাবির বিরোধীতা করে আন্দোলন শুরু করে কুকিরা। এরপর থেকেই সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে জাতিগত সহিংসতা শুরু হয়। টানা কয়েক মাস সহিংসতা চলে এরপর এটি বন্ধ হলেও গত সপ্তাহ থেকে আবারও হামলা-পাল্টা হামলা শুরু হয়েছে।

আজ সন্ধ্যায় মণিপুরের গভর্নরের সঙ্গে তড়িঘড়ি করে দেখা করেন মূখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। এরপরই তার পদত্যাগের গুঞ্জনটি আরও স্পষ্ট হয়। মণিপুরের সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে কারণ এবার যুদ্ধরত দুই পক্ষ রকেট এবং ড্রোনের মতো আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, শুক্রবার রাতে মণিপুরের বিষ্ণুপুর ও ইম্ফল পূর্ব জেলার আকাশে বহু ড্রোন দেখতে পান বাসিন্দারা। এ সময় তাদের মাঝে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে এই দুই জেলার বাসিন্দারা ঘটনার সময় তাদের বাড়িঘরের লাইট বন্ধ দেন। ভয়ে কেউই বাড়ির বাইরে বের হতে পারেননি রাতে।

ইম্ফল পশ্চিম জেলার আশপাশের দুটি স্থানে ড্রোন থেকে বোমা ফেলেছেন সেখানকার বিদ্রোহীরা। এই ঘটনার পর বিষ্ণুপুর ও ইম্ফল পূর্ব জেলার আকাশে অনেক ড্রোন উড়তে দেখেছেন বাসিন্দারা।

সূত্র: দ্য ফেডারেল

বার্তাবাজার/এস এইচ