ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সালিশ চলাকালে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ৯ জনকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের চান্দাইসার গ্রামের সফিক মিয়ার ছেলে সবুজ মিয়ার (২০) সঙ্গে একই ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের মিন্টু মিয়ার ছেলে শরীফ মিয়ার (১৯) সম্প্রতি একটি নারী সংক্রান্ত ঘটনায় সংঘর্ষ হয়।
ওই বিরোধ মিটাতে এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দুই গ্রামবাসীর উদ্যোগে চান্দাইসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি সালিশ বৈঠকে বসেন। বৈঠক চলাকালীন মজলিশপুর গ্রামের মো. হোসাইন বক্তব্য দেয়ার সময় ক্ষিদিরপুর গ্রামের এমরান সরকার বাধা দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে দুই গ্রামের লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে এ সংঘর্ষ। খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ সময় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে থেকে গুরুতর আহত হাসান মিয়া (২৫), রাইহান (২০), মো. সুজন (২৬ ), হামদু মিয়া (৭০), আনোয়ার হোসেন (৫৪), ইয়ামিন (৩৬), ফারুক হোসেন (৩৬), সূচি আক্তার (১৯), তানজিন মিয়া (২০) কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ আশে-পাশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় মজলিশপুর গ্রামের ফারুক হোসেন বাদী হয়ে চান্দাইসার গ্রামের ৯ জনের বিরুদ্ধে এবং চান্দাইসার গ্রামের সুজন মিয়া বাদী হয়ে ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুইটি অভিযোগ দায়ের করেন।
বিনাউটি ইউনিয়নের স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার রাশেদুল ইসলাম রাসেল বলেন, একটি নারী সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সবুজ ও শরীফ মিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ওই বিরোধ মিটাতে সালিশ বৈঠক চলাকালীন দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহমেদ বলেন, দুই গ্রামবাসীর লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। দুই পক্ষ দুটি অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ দুটি প্রাথমিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।