কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি: খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেছেন,২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর শহরের পৌর মার্কেটের সামনে জেলা বিএনপির মিছিলে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় শেখ হাবিবুল্লাহ নিহত হয়। আইনি প্রকৃয়ায় মামলাটি চলছিলো এবং যারা দোষী তাঁরা প্রমাণিত হয়েছিল, বিচার চলাকালিন সময়ে আওয়ামী সরকার নির্বাহী আদেশে মামলাটি স্থগিত করে দেয়। আইনি প্রক্রিয়ায় বাংলার মাটিতে শেখ হাবিবুল্লাহর হত্যার বিচার অবশ্যই হবে।

শুত্রুবার (০৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহরের কাউতলী রেসিডেনন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ হল রুমে চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, জেলা ছাত্রদল, যুবদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদ শেখ মো: হাবিবুল্লাহ’সহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও হতাহতদের রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলে।

এসময় তিনি জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামকে নির্দেশ দেন মামলাটি সচল করে পূনরায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে। তিনি সকল নেতাকর্মীদের সংযত থেকে জনগনের কল্যাণে কাজ করতে আহবান জানান। তিনি দলের নেতাকর্মীদের হুশিয়ার করে বলেন আওয়ামী সরকার যেভাবে পালিয়েছে আমাদেরকেও যেন এমনভাবে পালাতে না হয়, সেজন্য জণগনের মঙ্গলে কাজ করতে অনুরোধ করেন।

জেলা বিএনপির সাবেক তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো: সাদির সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি: খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শেখ মো: হাফিজ উল্লাহ হাফিজ।

এছাড়াও অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এডভোকেট শফিকুল ইসলাম, আনিসুর রহমান মঞ্জু, এবি এম মমিনুল হক, আলী আজম, মাঈনুল হোসেন চপল, মইনুল ইসলাম, হাসেন আলী, ভিপি লিটন, আলহাজ মনির হোসাইন, মিজানুর রহমান, শামিম মোল্লা, রাশেদ হক, আতিকুল হক জালাল, নাজমুল হুদা সানি, জিয়াউল হক, শেখ আব্দুল্লাহ, ফুজায়েল চৌধুরী রুবেল, সাজিদুর রহমান সাজিদ, রাসেল সরকার, সোলায়মান হোসেন জুয়েল, মোঃ মামুন, সোহেল, মো: মুক্তি, এখলাস খাব, মীর রিয়াদ প্রমুখ।

দোয়া মাহফিলে পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদ শেখ হাবিবুল্লাহ’র ছোট ভাই শেখ আমানুল্লাহ ন্যায় বিচার পেতে সকল নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।