আমিরাতে অবৈধ থেকে বৈধ হওয়া এবং কোনো জরিমানা ছাড়া দেশে ফিরতে চাওয়া বাংলাদেশিদের জন্য হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে। বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেল আল আবিরে এই হেল্প ডেস্কটি চালু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল বলেছে, আমিরাতের রেসিডেন্সি এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক লেফটেনেন্ট জেনারেল মোহাম্মদ আহমেদ আল মারির সঙ্গে দেখা করেছেন বাংলাদেশের কনস্যুল জেনারেল বিএম জামাল হোসাইন। ওই সময় আল আবিরের ইমিগ্রেশন সেন্টারে গিয়ে বিভিন্ন সেবা পরিদর্শন করেন।
যেসব বাংলাদেশি সাধারণ ক্ষমার সুবিধা নিতে চান তাদের দ্রুত সময়ে কাজ শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন লেফটেনেন্ট মারি। এছাড়া সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে আরব আমিরাতে শুরু হয় দুই মাসের সাধারণ ক্ষমা। এই সময়টায় অবৈধ অভিবাসী বা প্রবাসীরা বৈধ হতে পারবেন। যারা দেশে ফিরে আসতে চান তারা ফিরতেও পারবেন। এজন্য গুণতে হবে না কোনো জরিমানা।
২৮ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানায় আমিরাতের আইডেন্টিটি, সিটিজেনশিপ, কাস্টমস অ্যান্ড সিকিউরিটি কর্তৃপক্ষ (আইসিপি)।
সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলেন, মেয়াদ শেষ হওয়া রেসিডেন্সি ভিসা থেকে শুরু করে পর্যটনসহ সব ভিসা এই সাধারণ ক্ষমতার আওতায় থাকবে। অর্থাৎ সব অভিবাসী এই সুযোগ পাবেন।
এছাড়া যেসব অভিবাসীর সন্তান জন্ম হয়েছে; কিন্তু কাগজপত্র করা হয়নি। তারাও বৈধ কাগজপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।
আইসিপি বলেছে, “যারা আমিরাতে অবৈধভাবে বসবাস করছেন তারা যদি বৈধ হতে চান অথবা নিজ দেশে ফিরে যেতে চান তাদের জন্য এটি সবচেয়ে বড় সুযোগ। যারা দেশে ফিরবেন তারা চাইলে বৈধ ভিসা নিয়ে যে কোনো সময় আবারও আমিরাতে আসতে পারবেন। যারা অবৈধ থেকে বৈধ হবেন তাদের কাছ থেকে ওভার-স্টের (সময়সীমার চেয়ে বেশি সময় অবস্থান) জন্য কোনো ধরনের জরিমানা নেওয়া হবে না। এছাড়া যারা নিজ দেশে ফিরবেন তাদের কাছ থেকেও কোনো এক্সিট ফি নেওয়া হবে না।”
এর আগে ছয় বছর আগে আমিরাতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছিল। যা প্রথমে ২০১৮ সালের ১ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চলেছিল। এরপর এটির মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়ানো হয়।
২০০৭ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মধ্যে এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো প্রবাসীদের এমন সুযোগ দিচ্ছে আরব আমিরাতের সরকার
বার্তাবাজার/এসএম