মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআরসি) কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় ১২৯ জন কারাবন্দি নিহত হয়েছেন। দেশটির রাজধানী কিনশাসার কেন্দ্রীয় মাকালা কারাগারে গতকাল এ ঘটনা ঘটে।

ডিআরসি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ প্রতিবেদনে তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

মঙ্গলবার সকালে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানি লুকো বলেছেন, সোমবার অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে বন্দিরা পালানোর চেষ্টা করেছিল। এতে ভবনের প্রশাসনিক দপ্তরসহ হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিবৃতিতে লুকো বলেন, প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, সতর্ক করার পর গুলি চালানোয় ২৪ জনসহ মোট ১২৯ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ৫৯ জন আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি। লুকো বলেন, এ ঘটনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

দেশটির প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষেবার সঙ্গে একটি সংকটকালীন বৈঠক করেছেন বলেও জানান শাবানি লুকো। তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

ডিআরসির সবচেয়ে বড় কারাগার হচ্ছে মাকালা এবং প্রায় দেড় হাজার কয়েদীর জন্য এটি তৈরি করা হয়েছিল। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে কারাগারটিতে আছে ১৪ থেকে ১৫ হাজার বন্দি। এদের বেশিরভাগই বিচারাধীন বলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ডিআরসি সম্পর্কিত সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়েছে।

এই কারাগারে আগেও বন্দি পালানোর ঘটনা ঘটেছে। ২০১৭ সালে সশস্ত্র ব্যক্তিদের হামলায় ৪ হাজারের বেশি বন্দি পালিয়ে যায়।

সরকারি সফরে চীনে অবস্থান করা কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি এখনো ঘটনাটি নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে ন্যায়বিচার বিষয়ক মন্ত্রী কনস্ট্যান্ট মুতাম্বা এই হামলাকে ‘পরিকল্পিত অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড’ বলে অভিহিত করেছেন।

 

বার্তাবাজার/এসএম