ভুটানে প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। শনিবার পাহাড়ি পথ বেয়ে ফুটবলাররা হাইকিং করেন। পাহাড়ি পথ বেয়ে দৌড়াতে কষ্ট হলেও সবাই সেই সেশনটি বেশ উপভোগ করেছিলেন। ভুটানে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দলের দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ অ্যাস্টো টার্ফের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। সারা বছর ঘাসের মাঠে খেলা জামাল ভূঁইয়া-তপু বর্মণরা গতকাল থিম্পুর টার্ফে প্রথম অনুশীলন করেন।
৫ ও ৮ সেপ্টেম্বর ভুটানের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ফুটবল দল। স্বাগতিক হিসেবে বাংলাদেশের চেয়ে সব বিভাগেই এগিয়ে ভুটান। গত শুক্রবার দেশটিতে যাওয়া মোহাম্মদ সাদ উদ্দিন-শেখ মোরসালিনদের শুরুতেই আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার লড়াই করতে হচ্ছে। ঢাকায় বর্তমানে প্রচুর গরম থাকলেও থিম্পুতে বইছে ঠান্ডা। সবকিছু মিলিয়ে ভুটান কন্ডিশনই বড় চ্যালেঞ্জ লাল-সবুজের দলটির জন্য।
সেই চ্যালেঞ্জ ডিঙানোর আশা সহকারী কোচ হাসান আল মামুনের, ‘এখানে প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। আগের দিন আমরা হাইকিং সেশন করেছি। আজকে (রোববার) আমরা প্রথম অনুশীলন করেছি। অ্যাস্টো টার্ফের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে ভুটান সম্পর্কে ধারণা নেব। তাদের শক্তি এবং দুর্বল দিকগুলো নিয়ে আমরা পরিকল্পনা সাজাব।’
হাসান আল মামুনের মতো একই সুর সাদ উদ্দিনের কণ্ঠেও, ‘ভুটানে আবহাওয়া বড় একটি ফ্যাক্টর। বাংলাদেশে চলছে গরম আর এখানে অনেক ঠান্ডা। তাই এই আবহাওয়ার সঙ্গে মানাতে একটু সময় লাগবে। গত দুই মাস আমরা ফুটবলের বাইরে ছিলাম। তাই নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করাটাও বড় চ্যালেঞ্জ। আর ভুটানের সঙ্গে আমাদের জিততেই হবে।’
র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের (১৮৪) চেয়ে দুই ধাপ এগিয়ে ভুটান (১৮২)। দুটি প্রীতি ম্যাচে তাদের হারালে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হবে ক্যাবরেরার দলের। র্যাঙ্কিংয়ের উন্নতিতেই চোখ ডিফেন্ডার তপু বর্মণের, ‘আমরা এই জায়গায় এসেছি একটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে। চ্যালেঞ্জটা হলো এই দুটি ম্যাচ জিততে হবে। তাই প্রত্যেক প্লেয়ারকে সেক্রিফাইস করতে হবে। আমরা যেভাবে এখন প্রস্তুত হচ্ছি, সেটা ইতিবাচকভাবে। আমরা জানি, দুটি ম্যাচ কতটা গুরুত্বপূর্ণ।’
বার্তাবাজার/এমআই