ক্ষমতার অপব্যবহার, অর্থ আত্মসাৎ, নিয়োগ বানিজ্য, শিক্ষক কর্মচারীদের বেতনের টাকা লোপাট, বিদ্যালয়ে পরিবারতন্ত্র কায়েমের মাধ্যমে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করাসহ নানান অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থী অবিভাকরা।
রবিবার দুপুরে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার কুড়াখাল বাজারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কুড়াখাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদ উদ্দীন সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচিতে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক অংশ গ্রহন করেন।
মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের জন্য ১২ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয় বিক্ষুব্ধরা।
এসময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন তারা বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণসহ নিয়োগে বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্য করেছেন প্রধান শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন। ক্ষমতার অপব্যবহার, কর্মচারী ও শিক্ষকদের বেতনের টাকা আত্মসাৎ এবং নানা অপকর্মে লিপ্ত তিনি। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বিভিন্ন সময় আমাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেন, টাকা না দিতে পারলে গরমে মাঠের মধ্যে দাড়করিয়ে রাখেন। অবিভাবকদের সাথেও খারাপ আচরন করেন। এমন বিদ্যালয় প্রধান আমরা চাইনা। আমরা তার পদত্যাগ চাই।
এসময় বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী রকিবুল হাসান খান, নিশাত সরকার, রিয়া আক্তার, নুসরাত জাহান ও ফাহিমা আক্তারসহ শিক্ষার্থীরা।
অভিভাবকরা জানায়, কুড়াখাল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিয়োগই অবৈধ। তিনি এখানে তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, নিয়োগ বানিজ্যসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তার কাছে কেউ কখনো কোন আবদার করে সম্মান পায়নি। সে গরীব শিক্ষার্থীদের ও কোন প্রকার সুবিধা দেয়না। আমরা ছাত্রদের দাবীর সাথে সহমত প্রকাশ করছি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সিয়াম বলেন এমন দালাল শিক্ষক চাইনা আমরা ১২ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। সে যদি সেচ্ছায় পদত্যাগ না করে তাহলে আমরা আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করবো।
বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, ফরিদ উদ্দীনের নিয়োগ ভূয়া, তা ছাড়া তিনি ও তার আর দুই পারিবারিক শিক্ষক ও ভ‚য়া নিয়োগে চাকরি করছে। আমি বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরে এবিষয়ে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন কিছুই কার্যকর হয়নি। ছাত্রদের যৌক্তিক দাবির সাথে আমিও একমত। আমিও এমন লোকের পদত্যাগ চাই।
এবিষয়ে জানতে কুড়াখাল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদ উদ্দীন সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সিফাত উদ্দিন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।