শান্তি প্রিয় হাতিয়ার মানুষকে আর সন্ত্রাসের রাজত্বে থাকতে হবেনা, জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত হাতিয়ার মানুষের সাথে থাকবো, সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ অস্ত্রবাজদের নির্মূল করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের সহযোগিতা করার আহবান জানান সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী ফজলুল আজিম। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটায় হাতিয়া উপজেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে আয়োজিত জেলা বিএনপির সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা খোন্দকার আবুল কালামের সভাপতিত্বে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি, ছাত্র জনতার গণঅভ্যূথানে ও বন্যায় নিহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিলের বিশাল জনসভায় একথা বলেন।

দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন সাবেক এমপি প্রকৌশলী ফজলুল আজিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী ফজলুল আজিম মহিলা কলেজের সাবেক সভাপতি শামীমা আজিম, আজিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারহান মোহাম্মদ আজিম, উপজেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল উদ্দিন রাশেদ, সহসভাপতি মোসলে উদ্দিন চৌধুরী, এডভোকেট ইউনুছ, হাসিব মাইন উদ্দিন মাহমুদ। পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী আবদুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আলো।

বক্তব্যে ফজলুল আজিম উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, সবাই ধৈর্য্য ধরুন, নির্বাচন নিয়ে অস্থির হওয়ার কিছু নাই। বর্তমান সরকারের প্রধানের সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। আমি হাতিয়ার নদী ভাঙন রোধ এবং ফেরী চলাচলের বিষয়ে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। হাতিয়ার যাবতীয় সমস্যা নিরসনে আমি সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমি হাতিয়াকে স্বর্ণদিয়ে মুড়িয়ে দেব। হাতিয়াতে যত অনিয়ম অন্যায় হয়েছে তার সব কিছুর আইনগত বিচার হবে। আপনার ছাত্র আন্দোলনে শহীদ রিটন ও রিজভীর জন্য বিশেষভাবে দোয়া করবেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিসানুল আলম লেলিন, জাহাজমারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম, উপজেলা বিএনপির সদস্য ওমর ফারুক রাসেল, পৌর বিএনপির সহ সভাপতি আবদুর রহমান, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আমিরুল ইসলাম, শাহীন উদ্দিন, এডভোকেট নুর হোসেন সুমন, আবদুর রব রাশেদ, পৌরসভা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সামাদ আজাদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক নজরুল ইসলাম আদনান, সদস্য সচিব সুমন তালুকদার, জেলা ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার আরমান প্রমূখ।

দুপুরের পর থেকে ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, পৌরসভা পর্যায়ের হাজার হাজার নেতা কর্মীরা মিছিল সহকারে অনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত হতে থাকে। অল্প সময়ের মধ্যে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে দোয়া মাহফিলটি পরিণত হয় জনসমুদ্রে। পরে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি, ছাত্রজনতার আন্দোলনে শহীদ ও বন্যায় প্রাণ হারানোদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং আন্দলনে আহত ছাত্রদের সুস্থতা ও বন্যা কবলিত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।


বার্তাবাজার/ এসএইচ