দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক-ই-আজম বলেছেন, এ বন্যা আমাদের জন্য একটি শিক্ষা, আমরা পরিবর্তিত বাংলাদেশে যেতে চাই। পুনর্বাসন ও বন্যায় ত্রাণ নিয়ে আপামর জনতার কাজে আমি চিরকৃতজ্ঞ।

তিনি আরও বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনে বড় মিয়া ছোট মিয়া বিবেচনা যেন না হয়। চৌধুরী বাড়ির রাস্তা আগে হবে কুমার বাড়ির রাস্তা পরে হবে এমন বৈষম্য যেন না হয়। যারাই সব চাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ তারাই অগ্রাধিকার পাবে। বৈষম্য দিনের অবসান ঘটেছে।’ রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘বন্যায় যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। সব যথাযথ তালিকা হচ্ছে। আপনাদের ভাবনার চাইতেও সরকার আরো ভালো পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।’ এসময় তিনি দেশের সার্বিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গ নিয়ে বলেন, ‘এখন আর আগের বাংলাদেশ হবেনা। উঁচু নিচু ভেদাভেদ আর হবেনা। আইনের কাছে সবাই সমান থাকবে। রাষ্ট্র এবং সরকার সুস্পষ্ট বিভাজন থাকবে। রাষ্ট্র চিরস্থায়ী চিরন্তন। রাষ্ট্র তার আইন এবং বিধি দ্বারা সুরক্ষিত থাকবে। এর ব্যত্যয় যারা করবে তাদের রাষ্ট্রের দায়িত্বে থেকে চলে যাবে। থানা পুলিশ উন্মুক্ত থাকবে জনগণের জন্য। যেখানে আর কোনো বৈষম্য থাকবেনা।’

ত্রাণ উপদেষ্টা বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের কোনো ডিপার্টমেন্টের কাজের ফিরিস্তি নিয়ে ঠেলাঠেলি যেন না হয়। সকলেই দায়িত্বশীল আচরণ করবেন। উপজেলা প্রশাসনের প্রত্যেকটি দপ্তর যৌথ পরিবারের মতো কাজ করবে। জনগনের সেবা করার জন্য যে সুযোগ এসেছে তা যেন হেলায় নষ্ট না করি।’ এসময় উপস্থিত ছিলেন, মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রশাসক মাহফুজা জেরিন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী, লে. কর্ণেল আল মামুন, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) মনিরুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বার্তাবাজার/ এসএইচ