বাংলাদেশে ৬৪ জেলার মধ্যে সবচেয়ে ছোট জেলা হচ্ছে ফেনী, আয়তন: ৯৯০.৩৬ বর্গ কিলোমিটার। ছাগলনাইয়া, দাগনভূঁইয়া, পরশুরাম, ফুলগাজী, ফেনী সদর, সোনাগাজী এই ছয়টি উপজেলা নিয়ে অবস্থিত ফেনী জেলা।
ফেনীতে হঠাৎ বৃষ্টি, ঠিক তার পাশাপাশি ভারত সম্প্রতি তাদের বাঁধের পানি ছেড়ে দেওয়ার ফলে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ফেনীতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে, এ বন্যায় বহু গ্রাম পানির নিচে ডুবে গেছে।
বর্তমান অবস্থায় ফেনী জেলার ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও শত শত পরিবারের ক্ষতির পরিমাণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শত শত হাজার কোটি টাকা। নিঃস্ব হয়ে পড়েছে নিম্ন, মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো, কিছু কিছু জায়গায় এখনো পানি না কমার কারণে শত শত মানুষ এখনো আশ্রয় কেন্দ্রে পড়ে আছে। অনেকে নিজ বাড়ীর জায়গা খুঁজে পেলেও পাচ্ছে না, ঘরে থাকা জিনিসপত্র, ভেঙে পড়েছে ঘরবাড়ী। অনেকে খুঁজে পাচ্ছে না নিজের আত্মীয়-স্বজনকে।
এই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির পাশাপাশি বিদ্যুতের লাইন ও নেটওয়ার্ক দীর্ঘ ১২ দিন যাবৎ বন্ধ থাকার কারণে কান্নাকাটিতে ভেঙে পড়েছে প্রবাসীরা, কারণ ফেনী জেলার ৮০% লোক প্রবাসে জীবন যাপন করে থাকে।
এই মানবিক বিপর্যয়কে উপেক্ষা করে বন্যা কবলিত সাধারণ মানুষদের পাশে সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে দাঁড়ানোর প্রয়োজনে বিভিন্ন জেলা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী, বিভিন্ন সংগঠন থেকে সমাজসেবক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিভিন্ন দলের রাজনীতিবিদ, ব্যাবসায়ী, সাংবাদিক, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী সহ সাধারণ লোক ও ছুটে এসেছে ফেনী জেলায়।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে কিছু শুকনো খাবার ও পানি বিতরণ করতে অনেক মানুষ দূর দূরান্ত থেকে শত শত গাড়ী ভর্তি খাবার নিয়ে আসে ফেনীতে। দুঃখের বিষয় বন্যার পানি ভয়াবহ অবস্থায় থাকায় যারা খাবার নিয়ে এসেছেন তারা শহরের ভিতরে কিছু কিছু জায়গায় খাবার বিতরণ শেষে চলে যায়। অনেক দূরে পড়ে থাকা গ্রামগুলোর খোঁজখবর কেউ নেয়নি। কেমন আছে তারা? একটু খাবার পাওয়ার অপেক্ষায় রাস্তার দিকে প্রতিনিয়ত তাকিয়ে থাকা লোকগুলো।
বিশেষ করে ফুলগাজী ও পরশুরাম এলাকার অধিক ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটা পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের ওইখানে কোনো ধরনের ত্রাণ পাননি তারা।