চাঁদা না পেয়ে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় গোপালপুর ইউনিয়নের একটি আয়ুর্বেদিক ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে। অভিযোগটি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আলহাজ মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের এলাকার একটা সন্ত্রাসী গোষ্ঠি আমার কাছে আট লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা আমার প্রতিষ্ঠানের বাইরে থাকা সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করেছে এবং প্রতিষ্ঠানের গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। মালামাল বহনকারী বেশ কয়েকটি পরিবহন তারা রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। তার দাবি, সরাসরি এবং ফোন কলের মাধ্যমে এই চাঁদার টাকা দাবি করা হয়।’
চাঁদাবাজদের একটি ফোন কল প্রকাশ করেছেন মোজাফফর হোসেন। তাতে বলতে শোনা যায়, মোজাফ্ফর হোসেন রওশন প্রামাণিক নামে এক চাঁদাবাজকে প্রশ্ন করেন, আমার প্রতিষ্ঠান কেন চলতে দিচ্ছো না? আমার প্রতিষ্ঠানের মাল কেন ফেলে দিচ্ছো এবং মহিলা কর্মচারীসহ সকল কর্মচারীকে অকথ্য ভাষায় কেন বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছো? প্রতিউত্তরে চাঁদাবাজ রওশন বলেন, ‘আট লক্ষ টাকা দিলেই এই ধরনের সকল পেরেশানিমূলক কার্যক্রম আমরা বন্ধ করে দেব! এ ঘটনায় গত ২৭ আগস্ট উপজেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জেনী আয়ুর্বেদিক ল্যাবরেটরির কর্ণধার আলহাজ মো. মোজাফফর হোসেন।
অভিযোগে তিনি বলেন, ‘আমি মো. মোজাফফর হোসেন, আমার একটি জেনী আয়ুর্বেদিক ল্যাবরেটরি নামে ঔষধ ফ্যাক্টরি আছে। কিন্তু গত ৭ আগস্ট থেকে মো. রওশন প্রামাণিক,মো. সাইদুর রহমান সেন্টু-সকলের সাং-গড়মাটির এই ব্যক্তিরা আমার প্রতিষ্ঠান খুলতে দিচ্ছে না। তারা আমার কাছে আট লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করছে, আমার প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমি তাদেরকে আট লক্ষ টাকা চাঁদা দিব ততক্ষণ পর্যন্ত তারা আমার প্রতিষ্ঠান খুলতে দিবে না মর্মে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি সহকারে সামাজিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমি আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আজম খানের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। খুব দ্রুত ঘটনার তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌসের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। এই ধরনের কার্যক্রম আমার উপজেলায় অনেকগুলোই ঘটছে। তবে আমাদের সঙ্গে আপনাদের সাংবাদিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে। আমরা সবাই মিলে এই চাঁদাবাজি বন্ধ করতে সক্ষম হবো।
বার্তাবাজার/এসএইচ