উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিতে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই দুঃসময়ে উপজেলার বন্যার্ত মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় কাজী শাহ পরিবার। বন্যার্তদের জন্য তিনবেলা খাবার জোগান দিচ্ছেন তারা।
জানা যায়, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী, পাঁচবারের সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদের নির্দেশনায় তার ছোট ভাই কেএম মজিবুল হকের নিজস্ব অর্থায়নে ও কাজী শাহ আরেফিনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, বন্যায় তলিয়ে গেছে মানুষের বসতবাড়ি, স্কুল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট। ভয়াবহ এই দুর্যোগে গৃহহীন হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে বন্যা দুর্গত কয়েকশ পরিবার। উপজেলার বন্যাকবলিত জাহাপুর, মুরাদনগর, ধামঘর, নবীপুর পূর্ব, নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের প্রায় ১৭টি গ্রামের পাঁচ হাজার মানুষের তিন বেলার খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করে যাচ্ছেন কাজী শাহ পরিবার।
নেতাকর্মীরা জানান, কেএম মজিবুল হক করোনাকালেও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। চাল, ডাল, লবণ, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য প্যাকেট করে হাজার হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। যখনই দেশে বন্যা দেখা দিয়েছে উপজেলার বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। বন্যাদুর্গত এলাকায় মানুষের খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। যতদিন পর্যন্ত বন্যার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না ততদিন পর্যন্ত এ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি নেতা মোর্শেদ আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জুয়েল, জুবায়ের আহমেদ, কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আক্তার হোসেন, গোলাম রাব্বানী, মানিক, যুবদল নেতা আল কাউছার ইব্রাহিম, বাহাদুর, জামালসহ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী দিন-রাত পরিশ্রম করে বন্যার্ত মানুষের কাছে এ খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন।
বার্তাবাজার/এসএইচ